নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকম্পিত প্রতিবাদ, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর মুখর হয়ে উঠেছে। জুমার নামাজের পর, বিদ্রোহী হলের সম্মুখে সমবেত হয় একদল প্রতিবাদী তরুণ, যাঁরা দাবি তুলেছেন—আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক পোস্টের মাধ্যমে ভারত-সমর্থিত ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ গঠনের সম্ভাব্য ষড়যন্ত্রের বিষয়টি উন্মোচিত করেন। মুহূর্তের মধ্যেই সেই বার্তা ছড়িয়ে পড়ে জনমনে, সৃষ্টি হয় আলোড়ন।
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় দৃঢ় সংকল্প “নতুন বাংলাদেশের জন্য আমরা লড়াই করেছি। যাঁরা আত্মোৎসর্গ করেছেন, যাঁরা আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না। সরকার যদি যথাযথ বিচার না করে, তবে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।”
তাঁরা আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হতে পারে না এমন যুক্তি অগ্রহণযোগ্য। আমরা একদলীয় শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে, এবং তা বাস্তবায়িত করেই ছাড়ব।”
প্রসঙ্গত, হাসনাত আব্দুল্লাহর পোস্ট অনুযায়ী, ভারত-সমর্থিত ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ গঠনের প্রচেষ্টা চলছে, যেখানে শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে শেখ মুজিবের আদর্শকে ব্যবহার করে একটি নতুন দল গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ১১ মার্চ ক্যান্টনমেন্টে হাসনাত ও তাঁর সঙ্গীদের সামনে এই প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলেও তাঁরা তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। পরবর্তীতে তিনি জনগণের সমর্থন কামনা করেন, যেন এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা যায় এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এই আন্দোলন আরও কতদূর বিস্তৃত হবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন