নড়াইলে দুই ব্যক্তি খু*ন

নড়াইল ও কালিয়ায় ছুরিকাঘাতে ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই ব্যক্তি খুন হয়েছে, আহত হয়েছেন ৩০জন।

নড়াইল সদর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মোশারফ হোসেন মুসা (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই ব্যক্তি দলিজিৎপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে নড়াইল সদর উপজেলার নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে পড়ে ছিলেন মুসা নামে ওই ব্যক্তি। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কী ঘটনার জেরে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাজেদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

অপরদিকে নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফরিদ মোল্যা (৫৭) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাতে খুলনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরিদ মোল্যা মারা যান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা ও আফতাব মোল্যা পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ইতিপূর্বে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। থানায় উভয় পক্ষের একাধিক মামলাও রয়েছে। ঈদের দিন থেকে গ্রামটিতে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিলো। গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকালে মিলন মোল্যা পক্ষের সানোয়ার নামের একজন নড়াইলে আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে একা পেয়ে আফতাব মোল্য পক্ষের লোকেরা মারপিট করে। এ নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মিলন মোল্যা পক্ষের লোকেরা আফতাব মোল্যার বাড়িতে হামলা করে। পরে খবর পেয়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আফতাব মোল্যা গ্রুপের ফরিদ মোল্যা গুরুতর আহত হয়ে খুলনা মেডিকেলে মৃত্যু হয়। এসময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে আরো ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

কালিয়া থানার ওসি মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।