নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর এ কেমন রীতি? (ভিডিও)
সোমবার বর্ষ বিদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল গোটা বিশ্ব। ঠিক সেই সময় নিজের শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করছিলেন কয়েকজন মানুষ! আতশবাজির ঝলকানিতে যখন ২০১৯-কে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত, তখন কফিনবন্দি অবস্থায় নিজেদের আত্মার শান্তিকামনা করছিলেন তারা।
বিস্ময়কর ঘটনাই আসলে সত্যি। আর এটাই নাকি নিয়ম! আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়াসহ গোটা বিশ্বে পালিত হয় নিউইয়ার ইভ। আর এই দিনেই এমন রীতি পালন করে আসছেন ব্যাংককের অদূরে বসবাসকারী বৌদ্ধধর্মাবলম্বী কিছু মানুষ।
ওই অঞ্চলের বাসিন্দা ফিতসনু কিয়েংপ্রাদোউক জানান, এটা তাদের অনেক প্রাচীন রীতি। তারা বিশ্বাস করেন নতুন বছরে তাদের নবজন্ম হয়। সদ্যজন্ম শিশু যেমন নিষ্পাপ হয়, তেমনই নতুন বছর আসার আগে তারাও পাপ মুক্ত করেন। পুরনো বছরের সমস্ত পাপ, অন্যায়, ভুল থেকে মুক্তি পান। সেজন্য প্রত্যেক বছর ৩১ ডিসেম্বর জীবিত অবস্থায় নিজেদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন তারা।
জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর সকাল থেকেই ওই অঞ্চলের বৌদ্ধমন্দিরগুলোতে মানুষের ঢল নামে। বৌদ্ধমতে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে ভিড় জমান স্থানীয় মানুষ। কীভাবে হয় এই শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান?
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পরপর বেশ কয়েকটি কফিনে প্রথমে শোয়ানো হয় জীবিত ব্যক্তিদের। তাদের হাতে দেওয়া হয় বিশেষ ফুল। এরপর তাদের কফিনটিকে ঢেকে দেওয়া হয় গোলাপি কাপড়ে। মন্ত্রপাঠ করেন এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। কোনও বৌদ্ধধর্মাবলম্বীর মৃত্যু হলে শেষকৃত্যে যে মন্ত্র পাঠ করা হয়, ঠিক সেই মন্ত্র এই রীতির সময়ও পাঠ করেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী।
পরিবারের সঙ্গে এই রীতিতে যোগ দিতে এসেছিলেন বুসাবা ওকোং নামের এক নারী। তিনি জানান, অনেকেই তাদের এই প্রথাকে কুসংস্কার ভাবেন। কিন্তু এই প্রাচীন রীতিতে এখনও বিশ্বাস করেন তারা। তাই প্রত্যেক বছরের শেষ দিন মন্দিরে যান এবং জীবিত অবস্থায় নিজেদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন