নতুন সরকারি ঘর পেলেন না পঞ্চগড়ের এক প্রতিবন্ধী, পাননি সহায়তাও

শিলা বৃষ্টিতে পলেথিনের ঘর জরাজীর্ণ হওয়ায় বর্তমানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কনকনে শীতে মানবেতর জীবন নিয়ে বসবাস করছে দৃষ্টি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী আছিয়া বেগম।
ঘর সংস্কারের আর্থিক সাহায্য ও নতুন সরকারী পাকা ঘরের জন্য নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে আবেদন করেও মেলেনি কোন ধরণের প্রতিকার উল্টো ঘুড়তে হয়েছে ইউএনও অফিস চত্তরে দিনের পর দিন।

পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া উপজেলা দেবনগড় ইউনিয়নের সিতাপাড়া এলাকার মৃত আলাউদ্দিনের মেয়ে দৃষ্টি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী মোচ্ছা আছিয়া বেগম (৭০)। ওই ইউনিয়নের ইংডাঙ্গা এলাকার মৃত আমির হোসেন এর সাথে ঘর সংসারে একটি ছেলে সন্তানের মা হলে ছেলে সন্তানের জায়গা হলে আছিয়ার স্বামীর সংসার ভেঙ্গে যায়। নিজের কোন জায়গা নেই ছোট ভাইয়ের হাফ শতক জমিতে ভাঙ্গা বাঁশের পলেথিনের ঘর শিলা বৃষ্টিতে ভেঙ্গে জরাজীর্ণ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন অসহায় হতদরিদ্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আছিয়া।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ভাইয়ের হাফ শতাংশ জায়গায় পলেথিন ও বাশেঁর চালা দিয়ে ঘর করে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কনকনে শীতে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তার। উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের দেওয়া তিন মাস অন্তর অন্তর প্রতিবন্ধী ভাতা ২১৫০/- দিয়ে চলে তার সংসার।

অশ্রুশীক্ত চোখে প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা সংবাদকর্মীকে জানান, আমি ঘরের সংস্কার ও একটি সরকারী ঘরের জন্য দরখাস্ত দেবনগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বরাবরে দিলে তিনি সরেজমিনে তদন্ত করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ঘর সংস্কার ও সরকারী ঘরের সুপারিশ করেন তিনি।

এদিকে গত ৩০ নভেম্বর তেঁতুলিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা ডাক ফাইলে লিখিত আবেদন না পড়ে তিনি সমাজ সেবা অধিদপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর থেকে দৃষ্টি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী আছিয়া বেগম দুই মাস ধরে তেঁতুলিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে দিনের পর দিন ঘুরতে থাকেন।

গণমাধ্যমকর্মীর চোখে পড়লে আছিয়া বেগম উপজেলা কার্যালয়ের গোল চেয়ারে বসে অপেক্ষা করছেন নির্বাহী কর্মকর্তা কখন আসবেন। উল্লেক্ষ্য করে জিঙ্গাসা করলে উত্তরে আবেগ আফ্লুত চোখের জলে তিনি জানান, দুই মাস ধরে ঘুরতেছি ইউএনও সাথে দেখা করবো আমার ঘরের চালা নেই পলেথিনের ঘর বসবাস করতে পারি না।
এদিকে তার একথা শুনে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এধরণের কোন আবেদন পাই নাই। আমি বাইরে আছি আপনারা আমার বাংলোর সামনে থাকেন দেখা করবো এভাবে সংবাদকর্মীকে তিনি বলেন।
প্রায় দুই ঘন্টা সময় অপেক্ষা করেও নিবার্হী কর্মকর্তার কোন শারা পাওয়া যায় নাই। এসময় উপজেলা ডাক ফাইলে তোলব করলে জানা যায় আবেদনটি সমাজ সেবা অধিদপ্তরে প্রদান করা হয়েছে অধিদপ্তর শারীরিক প্রতিবন্ধী আছিয়া বেগম জন্য ২০০০/- টাকার আর্থিক সাহায্য অনুদান দিয়েছেন।

এ বিষয় দেবনগড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহসিনউল হক মোবাইন ফোনে যোগাযোগ করা হয়ে তিনি জানান, সরজমিনে তার ঘরের অবস্থা দেখে সুপারিশ করি আছিয়া বেগম প্রতিবন্ধী সরকারী ঘর তার জন্য নতুন পাকা ঘর পেলেই কিছুটা হলেও ভালো থাকবেন তিনি। শারীরিক প্রতিবন্ধী আছিয়া বেগম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট একটি সরকারি ঘরের জন্য আকুতি জানান এই প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা।