কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে; দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসীদের
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে সামান্য হ্রাস পেলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ৯ উপজেলার ৪৯ ইউনিয়নের ৪ শতাধিক গ্রামের দেড় লক্ষাধিক মানুষ।
পানিবন্দী পরিবারগুলো ৮ দিন ধরে পাকা সড়ক ও উঁচু বাঁধে গবাদি পশু-পাখিসহ আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। তাদের বাড়ী-ঘর তলিয়ে আছে বন্যার পানিতে। কাঁচা পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় নৌকা ও কলা গাছের ভেলাই বানভাষীদের একমাত্র ভরসা।
বন্যা কবলিত হওয়ায় জেলায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন, জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ বানভাষীদের ঘরের মজুদ খাবার ফুরিয়ে যাওয়ায় খাদ্য সংকটে পড়েছে। অনেক পরিবার খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে।
এদিকে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৩৮৭ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২২ লাখ টাকা ও ১৮ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হলেও অনেকের ভাগ্যে জোটেনি এই ত্রাণ সহায়তা।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বিভাগ জানায়, সোমবার বিকেল ৩টার তথ্য অনুযায়ী ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪০ সেন্টিমিটার, হাতিয়া পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার, সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ২৬ সেন্টিমিটার এবং দুধকুমরের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন