নরওয়ের রাজকুমারী মার্থা লুইস বেছে নিতে চলেছেন নতুন এক জীবন
নরওয়ের রাজকুমারী মার্থা লুইস বেছে নিতে চলেছেন নতুন এক জীবন। রাজকাজ ছেড়ে তার বাগদত্তা ডুরেক ভেরেটের সঙ্গে বিকল্প ওষুধ ব্যবসায় মনোনিবেশ করতে চান তিনি। গত ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার নিজের সিদ্ধান্তের কথা পরিবারকে জানিয়ে দিয়েছেন মার্থা।
ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে মার্থা বলেছেন, রাজপরিবারে শান্তি আনতেই তিনি দায়িত্ব ছাড়ছেন।
রাজকুমারী হওয়ার পাশাপাশি আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদের ভার ছিল মার্থার ওপর। সব দায়িত্ব থেকেই অব্যাহতি নিয়েছেন তিনি।
মার্থা লুইসের বর্তমান বয়স ৫১। তার বাগদত্তা ডুরেকের বয়স ৪৭। আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ডুরেক একজন স্বঘোষিত শ্যামন তথা আধ্যাত্মিক গুরু। তার পূর্ব পাঁচ পুরুষও শ্যামন ছিলেন।
হলিউডে তুমুল জনপ্রিয় ডুরেক। তার সঙ্গে মার্থার এই সম্পর্কের বিষয়ে নরওয়েজিয়ানদের মধ্যে তুমুল হইচই চলেছে।
শ্যামনের পাশাপাশি ডুরেক একজন লেখকও। তার লেখা ‘স্পিরিট হ্যাকিং’ বইটি বেশ সমালোচিত। তা ছাড়া মাঝেমধ্যেই তিনি বিতর্কিত কাজ করে বসেন। যেমন করোনার সময় তিনি তার নিজের ওয়েবসাইটে ‘স্পিরিট অপ্টিমাইজার’ নামে একটি পাথর বিক্রি শুরু করেন। তিনি দাবি করেন, পাথরটি করোনা সারায়।
নরওয়েতে রাজপরিবারের সদস্যরা জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকেন। কিন্তু মার্থার সঙ্গে ডুরেকের সম্পর্কের কারণে সেই জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পড়েছে।
রাজপরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজকুমারী মার্থা আর রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় থাকছেন না। তিনি আর রাজপরিবারের প্রতিনিধি নন। তবে রাজার ইচ্ছা অনুসারে তিনি সব সময়েই রাজকুমারী থাকবেন। এর আগে মার্থার একটি বিয়ে হয়েছিল। সে সংসার টেকেনি। তবে সেই সংসারে তার তিন সন্তান রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন