নরসিংদীতে কিশোরী বাসযাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করলো বাসচালক ও দুই সহযোগী

নরসিংদীতে এক কিশোরী বাসযাত্রীকে বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে বাসচালক ও তার দুই সহযোগী। এঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গতকাল সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর শালিধায় পৌর বাস টার্মিনাল এলাকার ময়লার ভাগাড়ে কিশোরীর মুখ বেধে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারন অর রশিদ।

গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত তিনজন হলো, মনোহরদী উপজেলার রাব্বি মিয়া (১৮), নরসিংদী শহরের দত্তপাড়া এলাকার মো: রাব্বি (২৪) ও পলাশ উপজেলার দক্ষিন দেওড়া এলাকার জাহিদুল হক (২০)। নির্যাতনের শিকার ১৬ বছরের ওই কিশোরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে ওই কিশোরী নরসিংদী বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাট হয়ে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে সদর উপজেলার সাহেপ্রতাপ মোড় এলাকা থেকে রংধনু পরিবহন নামে একটি মিনিবাসে উঠে। বাসটি শালিধায় পৌর বাস টার্মিনালে পৌঁছার আগেই সকল যাত্রী নেমে পড়েন। এসময় বাসচালক ও তার দুই সহযোগী কৌশলে কিশোরীর মুখ চেপে ধরে বাসে করে শালিধায় পৌর বাস টার্মিনালের পাশে ময়লার ভাগাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে বাসচালক ও তার দুই সহযোগী কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে মুখ বাধা অবস্থায় ফেলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সন্ধ্যায় সদর থানা পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় পুলিশ সোমবার রাতেই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে। মঙ্গলবার সকালে নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী সদর মডেল থানায় তিনজনকে আসামী করে মামলা করার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

নরসিংদী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারন অর রশিদ বলেন, নরসিংদী সদর হাসপাতালে ওই কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করার পর তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। রাতেই অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করার পর মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।