নরসিংদীতে জঙ্গিরা ইস্যুতে সীমান্তের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা, শুধু বাংলাদেশে নয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আদালত পাড়া থেকে মৃত্যুদপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা দেশে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের পূর্বপরিকল্পিত। তদন্ত করে এ ঘটনার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তারা যাতে দেশের বাইরে পালাতে না পারে সেজন্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আত্মগোপনে থাকা জঙ্গিরা তাদের অবস্থান জানান দিতে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে নরসিংদীর মনোহরদী থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এর পরে থানা প্রাঙ্গণে আয়োজিত সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক বিরোধী এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা কখনো বলিনি, দেশ থেকে জঙ্গীদের মূল উৎপাটন করেছি। দেশে জঙ্গীবাদ আমরা নিয়ন্ত্রণে এনেছি, তবু তারা মাঝেমধ্যে গোপনে মাথাচারা দিয়ে উঠে। আদালত পাড়া থেকে যে দুই জঙ্গীকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, আমাদের ধারণা, তারা পরিকল্পনামাফিক কাজটি করেছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের খোঁজে বের করা হবে। এছাড়াও নিরাপত্তা বাহিনীর কোন গাফিলতি ছিল কী না তাও তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে। এই ঘটনায় মন্ত্রণালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এসব তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। এই পর্যন্ত পাওয়া তথ্য থেকে বলতে পারি, দেশে লুকিয়ে থাকা জঙ্গীরা তাদের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি হুংকার দিচ্ছে, তারা ১০ তারিখে সারাদেশ থেকে লোক নিয়ে ঢাকা দখল করবে। তারা নাকি ওই দিন একদফা দেবে। আওয়ামীলীগ সবসময়ই জনগণের ম্যান্ডেড নিয়ে চলে, জনতার শক্তিতে চলে। সে জন্যেই আওয়ামীলীগ নির্বাচনে বিশ্বাস করে, জনতার শক্তিতে বিশ্বাস করে। যারা ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে, বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতায় আসে, তারা সবসময়ই এক ষড়যন্ত্রের পর আরেক ষড়যন্ত্র করবে। বিরাট সংখ্যা জমায়েত করে তারা ক্ষমতা দখল করতে চায়। বিশৃংখলা সৃষ্টি, ভাঙচুর, জানমালের ক্ষয়ক্ষতির চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী যা করা দরকার তাই করবে।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের সভাপতিত্বে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক বিরোধী ওই সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নূরল ইসলাম, নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারল আশরাফ খান দিলীপ, নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের সংসদ সদস্য জহিরল হক ভূঁইয়া মোহন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তামান্না নুসরাত বুবলী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল ফজল মীর, জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ আলী এবং জেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি মশিউর রহমান মৃধা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন