নরসিংদীতে জোড়া খুনের ঘটনায় পিস্তল-ইয়াবাসহ যুবক আটক

নরসিংদীর শিবপুরের বাঘাব ইউনিয়নের শ্রীফুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কের পাশে থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে অজ্ঞাত পরিচয় দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দুটি লাশই ছিল বস্তাবন্দি।

ফিঙ্গারপ্রিন্ট ছাড়াও অন্যান্য তথ্য মিলিয়ে কিছু সময় পরই পুলিশ নিশ্চিত হয় নিহত দুই যুবক হলেন পলাশ উপজেলার খানেপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রবেল মিয়া (২৫) ও শাহেপ্রতাব এলাকার মো. জাহাঙ্গীর (৩০)। এরপরই তদন্ত শুরু করে জেলা পুলিশ, নরসিংদী। সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে মূল আসামি সোহেলকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি, ৫২০ পিস ইযাবা ট্যাবলেট (বডিতে ৩২০ পিস প্রাইভেটকারে ২০০ পিস), ১টি প্রাইভেটকারসহ রায়পুরা থানাধীন তার শ্বশুরবাডি অলিপুরা পশ্চিমপাড়া হতে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামী মো. সোহেল নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার বাসিন্দা। একই এলাকায় সোহেলের শ্বশুরবাড়িও।

হাতে জোড়া খুনের রক্ত নিয়েই শ্বশুর বাড়ি গিয়ে ভুরিভোজ করলেন সোহেল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি শ্বশুর বাড়িতে জামাই আদরেই ছিলেন।

পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, ভয়াল হত্যাকান্ড এর মূল ঘটনা।

বিভিন্ন সূত্র থেকে পুলিশ নিশ্চিত হয় পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে বুধবার রাতে রবেল মিয়া এক যুবক রেন্ট-এ-কারের চালক শাহজালালকে ফোন করে মাধবদীতে একটি ট্রিপ থাকার কথা জানান। পরে রুবেল, শাহজালাল ও জাহাঙ্গীর একত্রিত হন। তারা তিনজন রেন্ট-কারের চালক। তিনজনের সঙ্গে ওই রাতেও প্রাইভেটকার ছিল। মাধবদী না গিয়ে তারা রায়পুরার খালাপাড়া এলাকায় যায়। সেখানেই কৌশলে মূল হোতা সোহেল ও তার সহযোগীরা তিনটি প্রাইভেটকার ছিনতাই করে। এরপর মাদকের অর্থের ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটা হয়। এক পর্যায়ে সোহেল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা শ্বাসরোধ করে রবেল ও জাহাঙ্গীরকে হত্যা করে। শাহজালাল ও অন্যরা কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। জোড়া খুনের পর সকালে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে থাকেন সোহেল।
সিলেট থেকে মাদক এনে তারা বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করত। মাদক কারবারের আধিপত্য ও টাকা লেনদেনের বিরোধে খুনের ঘটনা ঘটেছে।

মূল আসামিকে অল্প সময়ের মধ্যে মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামী সোহেলের বিরদ্ধে রায়পুরা ও ঢাকার বাড্ডা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সে একজন দুর্র্ধষ অপরাধী। জোড়া খুনে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে জেলা পুলিশ।