নরসিংদীতে টেটাঁসন্ত্রাস-ধর্মীয় উগ্রতার বিরদ্ধে এসপির কঠোর হুঁশিয়ারি

নরসিংদীতে টেঁটাসন্ত্রাস এবং ধর্মীয় উগ্রতার বিরদ্ধে কঠোর হুশিঁয়ারি দিলেন নরসিংদীর এসপি কাজী আশরাফুল আজীম। মঙ্গলবার নরসিংদী পুলিশ লাইনসে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আয়োজিত ঈদোত্তর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি জানান, সম্প্রতি নরসিংদী ও রায়পুরার চরাঞ্চলে টেটাঁসন্ত্রাসের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে যা ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। এসব ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন এখন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

তিনি বলেন, যারা অপরাধী তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আসামি খুঁজে বের করে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। পুলিশের এ কঠোর হস্তক্ষেপে এরই মধ্যে চরাঞ্চল থেকে অপরাধীরা তাদের দেশীয় অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে শুর করেছেন।

অপরদিকে, নরসিংদীতে ধর্মীয় উগ্রতা এবং জঙ্গিবাদের বিষয়েও কঠোর অবস্থানে পুলিশ। নরসিংদীতে অতীতে ধর্মীয় উগ্রতা এবং জঙ্গিবাদের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, জঙ্গীর কোনো আলামত বা আস্তানার সন্ধান পেলে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন।

এসপি জানান, পুলিশের মধ্যেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর সে সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেই নরসিংদীর মানুষের পাশে থাকবেন পুলিশ। মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য নরসিংদীতে প্রায় ১৫০০ পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। আর এ পুলিশের কাজে সহযোগিতা করার জন্য সাংবাদিকদেরকে সঠিক তথ্য এবং ইতিবাচক সমালোচনা করার পরামর্শ দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এএসপি (প্রশাসন) ইনামুল হক সাগর, এএসপি (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান এবংনরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি সওগাতুল আলমসহ বিভিন্ন থানার কর্মকর্তা ও সদস্যরা।

অপরদিকে, সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. মোর্শেদ শাহরিয়ার, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ আউয়াল, নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সাহিত্য ও ক্রীড়া সম্পাদক মনজিল-এ-মিল্লাত, প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য আমজাদ হোসেন, মোহনা টিভির প্রতিনিধি মাহাবুবুর রহমান, দৈনিক উত্তাপ পত্রিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট লিয়াকত হোসেন এবং দৈনিক সংবাদের জেলা প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান ভুইয়া, মশিউর রহমান সেলিম, খোরাক পত্রিকার সম্পাদক শেখ সাদী, মাধবদী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন, সদস্য মো. মুছা মিয়া, এসএ টিভির প্রতিনিধি মো. সজল ভুইয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার ইলেক্ট্রনিক ও প্রিণ্ট মিডিয়ার কর্মীরা।