নরসিংদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ২, আহত ২৫

নরসিংদীর সদর উপজেলার চরাঞ্চল এলাকার আলোকবালিতে আধিপত্য ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে, আহত হয়েছে কমপক্ষে ২৫ জন।

রবিবার (১৬ মে) ভোরে আলোকবালির মুরাদনগর এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর ও মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।

গুলিবিদ্ধ ও আহতদেরকে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এসময় গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ সজল ইসলাম টুকুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদীর সদর উপজেলার আলোকবালি এলাকার রায়হান মেম্বার ও আসাদুল্লাহ সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক দল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল শনিবার বিকেলে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াও হয়। এরই জের ধরে আজ ভোরে দুই গ্রুপ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন রায়হান মেম্বারের সর্মথক সজল ইসলাম টুকু ও মুরাদ মিয়া। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে তাদেরকে নিয়ে আসেন। সংর্ঘষের সময় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হন আলোকবালির বীরগাঁও এলাকার আব্দুল রহিম মিয়ার ছেলে সজল ইসলাম টুকু (৩৮), মুরাদনগর এলাকার মোখলেস মিয়ার ছেলে মুরাদ মিয়া (১৮)। এছাড়াও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আহত হন উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন।

এদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে সংবাদ কর্মী রুদ্র উপস্থিত থাকা এক নারী হাসনা বেগম বলেন, সকাল সকাল হঠাৎ করে চা এর দোকানে বসে চা খাওয়ার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় উত্তেজিত ও ক্ষিপ্ত হইয়া বাড়ী-ঘরে হামলা চালায়। এতে প্রায় আমাদের অনেক ক্ষয়-ক্ষতি হয়ে গেছে। অথচ দেশের করোনাকালীন সময়ে সকলেই অভাব অনটনে আছে। কিন্তু এই সময়ে এই হামলায় আমরা সকলেই অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে গেছি। তাই সুষ্ঠু বিচারের জন্য পুলিশ সুপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার চৌধুরী দত্ত ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।