নরসিংদীতে নিখোঁজের ৪ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল শিশুর মরদেহ
নরসিংদীর পলাশে নিখোঁজের চার দিন পর মাইশা আক্তার নামে সাড়ে তিন বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে র্যাব। এদিকে শিশুটিকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে র্যাব। র্যাব ১১-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও নরসিংদী ক্যাম্প কমান্ডার নিশাত তাবাসসুম এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আটককৃতরা হলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী এলাকার জালাল শেখ (৪৯), তাঁর স্ত্রী মাহফুজা শেখ ও ছেলে বিল্লাল শেখ। তাঁরা সবাই মেহেদী হাসানের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
নিহত মাইশা আক্তার জয়নগর গ্রামের মেহেদী হাসানের মেয়ে। সে শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিল। তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে ঘটনার রাতেই পলাশ থানায় জিডি করেন মাইশার বাবা।
র্যাব ১১-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও নরসিংদী ক্যাম্প কমান্ডার নিশাত তাবাসসুম আজ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, নিহত শিশুর পরিবার, স্থানীয় লোকজনের দেওয়া তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রথমে সন্দেহভাজন বিল্লালকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে বিল্লালের বাবা মো. জালাল শিশু মাইশাকে হত্যার পর শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর লুকিয়ে রেখেছে বলে জানায়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে শিশু মাইশার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার বাবা জালাল ও জালাল শেখের স্ত্রী মাহফুজাকে আটক করা হয়।
পলাশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় আজ ভোরে ডাংগা থেকে তিনজনকে আটক করেছে র্যাব। তাঁদের পলাশ থানায় হস্তান্তর করবে। শিশুকে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে তা আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন