নরসিংদীতে পাঁচদোনায় বাসা থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
নরসিংদীতে ভাড়া বাসা থেকে লামিয়া আক্তার সুমা (৩০) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার পাঁচদোনা বাজার সংলগ্ন বিল্লাল মিয়ার ভাড়া দেয়া বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত লামিয়া আক্তার সুমা ময়মনসিংহ শহরের বাবুখালি এলাকার সুলতান আহমেদ এর মেয়ে ও জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানার গারোহারী এলাকার আকিরদজ্জামানের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, স্বামী আকিরদজ্জামান পাঁচদোনা এলাকার একটি টেক্সটাইলে চাকুরি করেন। চাকুরির সুবাধে স্ত্রী লামিয়া আক্তার সুমা ও তাদের ১১ ও ৪ বছর বয়সী দুই ছেলে সন্তানকে নিয়ে এক বছর ধরে বিল্লালের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। সকালে স্ত্রীকে ঘরে রেখে নাস্তা কিনে দেয়ার জন্য দুই সন্তানকে নিয়ে বের হন স্বামী আকিরুদজ্জামান। নাস্তা কিনে দিয়ে দুই সন্তানকে বাসায় যেতে বলে কর্মস্থলে চলে যান তিনি। বাসায় ফিরে সন্তানরা ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পায়। এসময় তারা বাইরে বসে নাস্তা শেষ করে আবার ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে দরজা খুলছিলেন না লামিয়া আক্তার সুমা।
পরে স্থানীয়রা ঘরের জানালা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে একজনকে পাঠিয়ে দরজা খোলার পর সুমার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে মাধবদী থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে।
স্বামী আকিরদজ্জামান জানান, তার ছেলেরা বাসায় ফিরে ডাকাডাকি করলেও দরজা খুলছিল না। পরে জানালা ভেঙ্গে ঘরের ভেতর লাশ দেখতে পেয়ে আমাকে অফিসে খবর দেয়া হয়। তার স্ত্রী লামিয়া আক্তার সুমা ৫ বছর ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল বলেও জানান তিনি। সকালেও সুমাকে সুস্থ অবস্থায় দেখেন স্বামী ও সন্তানরা।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় ওই নারী নিজেই বটি দিয়ে গলায় আঘাত করে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন