নরসিংদীতে বালু ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব, রায়পুরায় টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ৩

নরসিংদীর রায়পুরায় বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সাবেক দুই ইউপি সদস্যের গ্রোপের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ তিনজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নিলক্ষ্যা ইউনিয়নের আমিরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতরা হলেন, উপজেলার নিলক্ষ্যা ইউনিয়নের আমিরাবাদ এলাকার মো. আইজদ্দিনের ছেলে আবুল কাশেম (৪০), একই এলাকার মৃত আলতু মিয়ার ছেলে সোলেমান (৫০) ও হাবিবুর রহমানের ছেলে মন্টু মিয়া (৪০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার নিলক্ষ্যা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার জামাল মিয়া ও স্থানীয় কয়েকজন মিলে এলাকায় ড্রেজার বসিয়ে বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। এ বছর বালু ব্যবসায় সাবেক তার মেম্বারের লোকদের পার্টনার হিসাবে রাখা হয়নি। এনিয়ে দুই মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই জেরে দুই পক্ষ সকালে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় জামাল মেম্বারের সমর্থক কাশেম বুকে টেঁটাবিদ্ধ ও চাপাতির কোপে রক্তাক্তর জখম হন সোলেমান। একই ঘটনায় স্থানীয় পথচারী মন্টু মিয়া টেঁটাবিদ্ধ হন। এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে জামাল মেম্বারের সমর্থকদের দোকানের মালামাল লুট ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন তার মেম্বারের লোকেরা। পরে রায়পুরা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহত কাশেমের স্ত্রী বলেন, সকালে হঠাৎ তার মেম্বারের লোকেরা টেঁটা, দা, বল্লম ও চাপাতি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের ছোঁড়া একটি টেঁটা গিয়ে বিঁধে আমার স্বামীর বুকে। এ সময় তারা আমার দোকানের মালামাল লুট করে। স্থানীয় এক বৃদ্ধা বলেন, তার ছেলে জজ মিয়ার ঘরটি পুড়িয়ে দিয়েছে তার মেম্বারের সমর্থকরা। এ সময় তারা দুটি খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগ করেন।

তার মেম্বারের সমর্থক মো. মহর আলী বলেন, বালু ব্যবসায় আমাদের কাউকে পার্টনার হিসাবে রাখেননি জামাল মেম্বার। তিনি পছন্দের লোক নিয়ে বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাতে আমাদের লোকেরা শুধুমাত্র আপত্তি জানিয়েছে। তাদের সাথে কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। তাঁরা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাদের লোকদের ফাঁসাতে যাচ্ছে।

রায়পুরা থানার এসআই রেজাউল করিম জানান, বালু ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন আহত হয়েছে। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় পুলিশ অবস্থান করছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানান এসআই রেজাউল।