নরসিংদীতে মহাসড়কে যেভাবে চলছে তেল চুরির মহোৎসব!
নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে সাজিয়ে বসে আছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। সুকৌশলে জ্বালানি তেল চুরি করে মহাসড়কের পাশে ছোট ছোট দোকানে এবং খোলা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। বিভিন্ন গাড়ির ডিপোতে তেল সরবরাহকারী ট্যাঙ্ক-লরি থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার তেল চুরি করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র যা থেকে সু-কৌশলে কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তারা মাসিক মাসুহারা নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ থেকে আরো জানা যায় থানায় কিছু পুলিশ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ব্যাঙের ছাতার মতো বাড়ছে এসব অস্থায়ী সাময়িক তেলের দোকান।
এদিকে আজ শিবপুর উপজেলা সোনাইমুরী এলাকার ঢাকা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এক দোকান মালিক তার পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, প্রতি মসে আমাদের এক একটা দোকান থেকে শিবপুর থানার কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাকে ২ হাজার টাকা করে মাসিক মাসুহারা দিতে হয়। আমরা যদি এসব অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের টাকা না দেই তাহলে আমাদের দোকানের সামনে এসে চালক গাড়ী থামালে তাদেরকে গাড়ীসহ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে তাদেরকে গাড়ী সহ ছাড়িয়ে আনতে হয়। এই জন্য আমরা হয়রানী থেকে বাঁচতে এবং কাস্টোমার পাওয়ার আশায় তাদেরকে মাসিক মাসুহারা দিয়ে আসছি।
এদিকে খবর নিয়ে জানা যায়, দোকানিরা বাজারমূল্য থেকে কমে কিনে তা বিক্রি করে থাকেন। এই তেল চুরি সিন্ডিকেটের সঙ্গে ডিপোতে তেল সরবরাহকারী ট্যাঙ্ক-লরির চালক, হেলপার ও খুচরা দোকানিরা জড়িত। এমন কি কোম্পানির ডিপো সুপারের যোগসাজশ রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের অবৈধ দোকান প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। তাছাড়া তেল চুরির ঘটনা বেড়েই চলছে। সড়কের পাশে প্রায় প্রতিদিনই সন্ধার পর ও ভোর সকালে ডিপোতে জ্বালানি সরবরাহের আগে ও পরে ডিজেল, পেট্রোল ও কেরোসিন বিক্রি করেন চালকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বড়ুইতলা থেতে গাবতলী পর্যন্ত প্রায় ১৫ টিরও অধিক অবৈধ তেল চুরির অস্থায়ী দোকান রয়েছে। তারা প্রতিনিয়তই তেল চুরি অবৈধ উপায়ে পুলিশ মাসুহারা দিয়ে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকৃত পক্ষে কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার জন্য পুরো ডিপার্টমেন্টের বদনাম হয়। কিন্তু সব পুলিশ অপরাধী নয়, কিছু ন্যায় ও নিষ্ঠাবান পুলিশের কারণে এখনো ডিপার্টমেন্ট এখনো টিকে আছে।
বিভিন্ন গাড়ির ডিপোতে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। এসব তেল বিক্রির খুচরা দোকানের অধিকাংশের লাইসেন্স নেই। মূলত চুরির তেল কিনে তা বিক্রিই তাদের মূল ব্যবসা। প্রশাসন থেকে এ ব্যাপারে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সচেতন মহল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন