নরসিংদীতে মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় ড্রেজার আটক
নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় তিনতাঁরা নামে একটি ড্রেজার আটক করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২ টায় উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া এলাকা হতে ড্রেজারটি আটক করেন স্থানীয়রা। ড্রেজারটি দিয়ে নদী তীরের কৃষিজমির উপর বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল।
স্থানীয়রা জানান, প্রশাসনের কোন প্রকার বালুমহাল ইজারা না থাকলেও প্রতিরাতেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীরা তাদের ড্রেজার লাগিয়ে বর্ষার পানিতে তলিয়ে থাকা কৃষিজমি কেটে বালু উত্তোলন করে আসছে।
গত রাতে ৮-১০টি ড্রেজার লাগিয়ে বালু উত্তোলন শুর করে তারা। খবর পেয়ে এলাকাবাসী একটি ড্রেজার আটক করতে সক্ষম হয়। বাকি ড্রেজারগুলো আটক করা যায়নি।
ওই এলাকার বাসিন্দা সাইমুম আহমেদ জানান, প্রতিদিন ও প্রতিরাতেই এলোপাতাড়িভাবে চাঁনপুর সীমানা থেকে বালু উত্তোলন করা হয়। এসবকে কেন্দ্র করে এলাকায় অস্থির ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতিও বিরাজ করে। আমরা এলাকাবাসী নদী ভাঙনের আতংকে বালু উত্তোলনে বাধা দিয়ে থাকি। আর ড্রেজার মালিকরা ক্ষমতা প্রদর্শন করে হামলা-মামলার ভয় দেখিয়ে বালু উত্তোলন করতে থাকে। এতে করে এই অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে।
চাঁনপুর এলাকার ফখরল ইসলাম বলেন, “রাত নেই, দিন নেই এভাবে যদি তাঁরা কৃষিজমি, ভিটেমাটি কেটে বালু উত্তোলন করতে থাকে আমরা কি করতে পারি? আমরা কি এই গ্রামে বসবাস করব না? স্বাভাবিক জীবনযাপন করার অধিকার আমাদের নেই?”
চাঁনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোমেন সরকার জানান, দিশেহারা হয়ে পড়ার অবস্থা বালু দস্যুবাহিনীর অত্যচারে। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানিয়েছি। তাঁরা পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম বলেন, এ বিষয়ে আমি খোঁজ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলাম। বর্তমানে ওই এলাকায পুলিশ রয়েছে এবং আটককৃত ড্রেজারটি উপজেলা সদরে মেঘনার তীরে নিযে আসা হচ্ছে। ড্রেজারটি পার্শ্ববর্তী নবীনগর উপজেলার বাইশমৌজা এলাকার।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন