নরসিংদীতে সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের এক অসহায় নারীকে (৩৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওবাইদুল্লাহ নামে এক সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সে শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের আঃ বাছেদ মাষ্টারের ছেলে, তার পিতা আজকিতলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই নারী বলেন, গত প্রায় ১০ বছর ধরে বিয়ের প্রলোভন এবং ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সরকারী কর্মকর্তা ওবাইদুল্লাহ আমাকে ধর্ষণ করে আসছে। বর্তমানে সে আমাকে বিয়ে না করে সামাজিক সোসাল মিডিয়ায় আমার অশ্লীল ভিডিও এবং স্থির চিত্র ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তার জীবন থেকে সরে যাওয়ার কথা বলছে।
এদিকে ধর্ষণকারী সরকারী কর্মকর্তা ওবাইদুলের বাড়ীতে সংবাদ কর্মী রুদ্র গেলে তার চাচাতো ভাই ও পিতা আঃ বাছেদ মাষ্টার সংবাদ কর্মীকে বলেন, আমার ছেলের উক্ত ঘটনা সত্য। কারণ কিছুদিন পূর্বে মেয়ের পিতাকে ডেকে এনে ক্ষমা চেয়ে একটি সালিশ দরবার আমরা করেছি। এ বিষয়ে আঃ বাছেদ মাষ্টার আরো বলেন, যেহেতু আমার ছেলে উক্ত অপরাধ করেছে তাই আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
এদিকে অসাধু সরকারী কর্মকর্তা ওবাইদুল্লাহ এলাকায় নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে নানা অসামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। অসাধু সরকারী কর্মকর্তা ওবাইদুল্লাহ এর বিরুদ্ধে নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মুক্তার খান নামক এক লোক নিজে বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এই অসাধু সরকারী কর্মকর্তা ওবাইদুলের বিরুদ্ধে এলাকায় গিয়ে আরো অনেক তার কু-কর্মের কথা বেরিয়ে এসেছে। বিস্তারিত বিষয়ে আগামী সংখ্যায় আরো গুরুত্বপূর্ণ চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে।
এদিকে অসহায় ধর্ষণের শিকার নারীটি সংবাদ কর্মী রুদ্র এর নিকট অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে আমি অসহায়ভাবে জীবন ধারণ করছি। সে আমাকে সমাজের নিকট প্রতিনিয়ত ছোট করেছে এবং আমার মান সম্মান নিয়ে খেলা করেছে। তাছাড়া সে কথায় কথায় তার ক্ষমতা দেখায়। সে আরো বলে যে, এটা নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করলে সে আমার পিতা-মাতাকে গুম করে ফেলবে। অথচ সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এবং ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে আমার সাথে দীর্ঘ ১০ বৎসর শারীরিক সম্পর্ক তৈরী করে যা তার মোবাইল ফোনে ভিডিও আকারে ধারণ করে। বর্তমানে এগুলো সে আমার বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের নিকট পাঠাচ্ছে। বর্তমানে এর সঠিক বিচার না পেলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া কোন উপায় নাই।
এই বিষয়ে ধর্ষণকারী অসাধু সরকারী কর্মকর্তা ওবাইদুলের নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করবে বলে প্রস্তাব দেয়।
এদিকে নরসিংদী জেলা পুলিশের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, সে আসলে পুলিশের কোন কর্মকর্তা নয়। সে অন্য ডিপার্টমেন্টের সরকারী কর্মকর্তা।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এসব অসাধু কর্মকর্তাদের জন্য দেশে নারীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে এবং ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। তাছাড়া সরকারী দপ্তরগুলোর সুনাম নষ্ট করছে। তাই এখনই তদন্ত করে এর সঠিক বিচার নিশ্চিত করা উচিত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন