নরসিংদীতে সেই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা, দল থেকে অব্যাহতি

নরসিংদীতে এক প্রতিবন্ধী ও মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় সেই ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর বিরদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (২জুন) রাতে মাধববী থানায মামলাটি দাযরে করেন আহত যুবকের মা রেজি বেগম। আর তাকে একইদিন দল থেকে অব্যহতি দিয়েছে মাধবদী থানা ছাত্রলীগ।
অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান বাবু সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহব্বায়ক এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

আহত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এবং মৃগীরোগে আক্রান্ত সোহেল মিয়া (৪০) সদর উপজেলার চর-মাধবদী এলাকার মৃত সাইদ মিয়ার ছেলে।
গত শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে চরমাধবদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রবিবার বিকেলে মাধবদী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম হাফিজুর রহমান সৈকত ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন মনির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে দল থেকে অব্যহতি দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয, সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও অমানবিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচদোনা ইউনিযন ছাত্রলীগের আহ্বাযক পদ থেকে বাবুকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সেই সাথে পাঁচদোনা ইউনিযন ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয।

আহত সোহেল মিয়ার মা রেজি বেগম বলেন, আমি আমার পরিবার নিযে আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। থানায় মামলা দায়ের করেছি। কখন আবার বাবু হামলা চালায়। সে এলাকার মধ্যে প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা আশ্রয় প্রশ্রয় বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে। সাংবাদিকরা পাশে থাকলে আমি একটু বিচার পাবো। আমার ছেলেকে চিকিৎসা করার পর্যন্ত টাকা আমার কাছে নেই। আমি বাবুকে গ্রেফতার চাই এবং সর্বোচ্চ বিচার দাবি করছি। তাকে যারা আশ্রয প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদেরও বিচার চাই।

স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় জাকির হোসেনের মুদী দোকানে যায় সোহেল। এসময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা বাবুর বাবা প্রতিবেশী মোখলেছুর রহমানের সাথে বিস্কুট খাওয়া নিয়ে কথাকাটাকাটি হয় সোহেলের। পরবর্তীতে স্থানীয় এলাকাবাসীর সমন্বয়ে বিষয়টি নিরসন করা হয়। এরপর সোহেলের মামা বাবুল মোল্লাকেও মারধোর করে বাবু। শুক্রবার সোহেল একা বাজারে গেলে সাধারণ মানুষ এর সামনে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে কলা বাগানে তাকে ফেলে চলে যান ছাত্রলীগ নেতা বাবু।