নরসিংদীতে স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু, ১ জন আটক
নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের রাজাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা ইদ্রিছ আলীর মেয়ে ইভা (১৯) গত বুধবার (১৫ মে) রহস্যজনকভাবে স্বামীর বাড়িতে মারা যায়।
এতে করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সৃষ্টি হয়।
খোজ নিয়ে জানা যায়, দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিবাহ হয়। বিবাহের কিছুদিন পর তাদের একটি পুত্র সন্তান মোহাম্মদ আলী জন্মগ্রহন করে।
তাদের সন্তান মোহাম্মদ আলী গণমাধ্যমকর্মী ও এলাকাবাসীকে জানায়, তার পিতা আল-আমিন তার মা ইভাকে গলা টিপে হত্যা করে।
এদিকে রবিবার সংবাদকর্মী রুদ্রকে ডেকে নিয়ে ইভার বাবা ইদ্রিছ আলী তার বক্তব্যে বলেন, আমার মেয়েকে গলা টিপে ও নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারী আল-আমিনের সর্বোচ্চ সাজার দাবী জানাচ্ছি।
এদিকে একই এলাকার বাসিন্দা কুলসুম আক্তার সংবাদকর্মীদেরকে জানান, ইভা একটি সহজ সরল মেয়ে ছিলো। আল-আমিন প্রায় সময় তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাতো। অথচ অন্যান্য মানুষের সাথে সে ভালো ব্যবহার করতো। প্রায়সময়ই আল-আমিন ইভার উপর মানসিক ও শারিরীক অত্যাচার করে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিতো।
ইভার বাবা সংবাদকর্মীদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, হত্যার ঘটনার তিন দিন পর রায়পুরা থানার পুলিশ আসে তদন্ত করতে। তদন্ত কর্মকর্তা আমাকে বলেন এ বিষয়টি নিয়ে এতো ভাবনাচিন্তার বিষয় নয়। আমরা তদন্ত করে দেখছি। অথচ প্রকাশ্যে আসামীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন প্রস্তাবও দিচ্ছে ইদ্রিস আলীকে। তাই ইদ্রিছ আলী নরসিংদী জেলার মাননীয় পুলিশ
সুপারের সহযোগিতা কামনা করছেন।
এদিকে মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দেওয়া বিউটি আক্তার সংবাদকর্মীদেরকে জানান, ইভাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে আল-আমিন। আমরা মানবাধিকার কর্মীরা তদন্ত করে দেখছি, ইভা একটি সরল সহজ মেয়ে ছিলো। তাকে নির্যাতন অত্যাচার করে ঘরের ফ্যানের সাথে তার লাশ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা একটি মানববন্ধন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এদিকে রাজাবাড়ী এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ অহিদুল বলেন, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। ইভা একটি সহজ সরল মেয়ে। সে আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে নয়। মেয়েটি অনেক পরিশ্রমি ছিলো।
এদিকে আল-আমিনের বাড়িতে সংবাদকর্মীরা গেলে আল-আমিন নরসিংদী কারাগারে রয়েছে ও তার পরিবার পলাতক রয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার, রায়পুরা সার্কেল আফসান-আল-আলম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। একজন আসামী আটক আছে। অন্যান্য আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
ইভার মা’র অভিযোগ, আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে আল-আমিন হত্যা করেছে। ০২ বছরের শিশুকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমি নরসিংদী জেলার মাননীয় পুলিশ সুপারের কাছে আইনগত সহায়তা পাবার আশা করছি। আমার মেয়ের হত্যাকারীদের ধৃত করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। বর্তমানে ইভার পরিবার-পরিজনরা শোকে আত্মহারা হয়ে মানবিক জীবন যাপন করছেন। প্রতিনিয়ত তার সন্তান মাকে কেদে কেদে খুজছে। বাবাকে খুনি বলে অভিযোগ করছে ইভার সন্তান। ইভাকে নিয়ে মরজাল বাসষ্ট্যান্ডে একটি মানববন্ধন করার প্রস্তুতি চলছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন