নরসিংদীর ঘোড়াদিয়ায় সেপটিক ট্যাংক থেকে ৩ বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার
নরসিংদীতে সেপটিক ট্যাংক থেকে আশরাফুল ইসলাম নামে তিন বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর থানার ঘোড়াদিয়া সোনাতলা এলাকার নির্মাণাধীন একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আশরাফুল একই এলাকার আলফাজ মিয়া ও আম্বিয়া বেগম দম্পতির ছেলে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) একেএম শহিদুল ইসলাম সোহাগ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সকালে নাস্তা করার পর বাড়ির উঠানে খেলা করছিল শিশু আশরাফুল। সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে তাকে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুর করেন তার মা। এক পর্যায়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরের নির্মাণাধীন একটি একতলা বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে এক শিশুর লাশ পড়ে আছে। এসময় স্থানীয়রা ত্রিপল নাইনে ফোন করেন। এতে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) একেএম শহিদুল ইসলাম সোহাগসহ সদর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সেপটিক ট্যাংকের ভিতর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেন। এসময় শিশুটির মা লাশ শনাক্ত করেন।
নির্মাণাধীন বাড়িটির প্রতিবেশি জরিনা বেগম জানান, ৮-১০ বছরের এক মেয়ে শিশুকে অপর এক ছোট শিশুকে নিয়ে নির্মাণাধীন বাড়িটির পাশে দাড়িয়ে থাকতে দেখেন। পরে তিনি গোসল শেষে বের হয়ে তার বাড়ির পাশ দিয়ে মেয়ে শিশুটিকে একা দৌড়ে যেতে দেখেন।
শিশুটির মা আম্বিয়া বেগম বলেন, কয়েকদিন আগে পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া ৮-১০ বছরের এক মেয়ের সাথে তার বড় ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় মেয়েটি তার ছেলেকে থাপ্প্ড় দেয়। আজ সকালে ওই মেয়েকে তার বাড়ির পাশে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরের নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে কীভাবে তার ছোট ছেলে গেল তা বুঝতে পারছেন না তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) একেএম শহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তরের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর বলা যাবে শিশুটি কীভাবে মারা গেল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন