নরসিংদীর পলাশে চালককে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২ জন গ্রেপ্তার
নরসিংদীর পলাশে কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে হত্যার পর রাস্তার পাশে কলাবাগানে ফেলে রাখা ব্যাটারিচালিত এক অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৪ জানুয়ারী) বিকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ। এর আগে শুক্রবার রাতে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নরসিংদী সদর থানাধীন করিমপুর বিলপাড় গ্রামের আসাদ মিয়ার ছেলে খলিল মিয়া (২৫) ও নরসিংদী সদর থানাধীন কালাই গোবিন্দপুর মো. আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান (২৭)।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পলাশ থানাধীন গজারিয়া ইউনিয়নের দড়িচর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে মো. ইসমাইল মিয়া (২৪) নামে এক অটোরিকশা চালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে খোঁজ-খবর নিয়ে পুলিশ জানতে পারে নিহত ইসমাইল মিয়া নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল করিমপুর ইউনিয়নের বিলপাড় গ্রামের মো. ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে। সে পেশায় একজন অটোরিকশা চালক।
ঘটনার দিন কে বা কারা তাকে খুন করে তার অটোরিকশাটি ছিনতাই করে ওড়না ও দড়ি দিয়ে মুখ বাধা অবস্থায় তার লাশটি এখানে ফেলে যায়।
এ ঘটনায় ওই দিনই নিহত ইসমাইল মিয়ার পিতা ইব্রাহীম মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে পলাশ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আরিফ খান ও সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে পলাশ থানা পুলিশের একটি দল অভিযানে নামেন।
দীর্ঘ ৭২ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে অটোরিকশা চালক ইসমাইল মিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত খলিল মিয়া ও মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি ছিনতাইকৃত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত খলিল ও মেহেদী হাসানসহ চার থেকে ৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ ভয়ংকর চক্র। তারা অটোরিকশা ছিনতাই করাসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারেও পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন