নরসিংদীর রায়পুরায় ট্রেনে কাটাপড়া ৫ মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন, শনাক্ত হয়নি পরিচয়

নরসিংদীর রায়পুরায় ট্রেনে কাটাপড়া ৫ মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। সোমবার রাতেই ময়নাতদন্তের পর রেলওয়ে করবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করে রেলওয়ে পুলিশ। ২৪ ঘন্টা পার হলেও তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) ও সিআইডির প্রযুক্তিদল এখনও পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি বলে মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) সকালে নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক মো: শহিদুল্লাহ।
মো. শহিদুল্লাহ বলেন, সোমবার রাত ১০ টা থেকে ১২ টার মধ্যে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে ৫ লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয় । পরে মরদেহগুলো নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হলে প্রচন্ড দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পরে বাধ্য হয়েই লাশগুলো রেলস্টেশনের নিকটস্থ বেওয়ারিশ কবরস্থানে দাফন করা হয়৷

তবে তাদের পরনের কাপড় সংগ্রহে রাখা হয়েছে, মুখের লালা এবং দাত সংগ্রহে রাখা হয়েছে ফরেনসিক এবং ডিএনএ টেস্ট করার জন্য।

পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের স্বীকার কী না এমন প্রশ্নের জবাবে রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.শহিদুল্লাহ আরও বলেন, ফরেনসিক রিপোর্ট এলেই বুঝা যাবে। এছাড়া পরিচয় শনাক্তের জন্য নরসিংদীসহ পার্শবর্তী জেলায় আমাদের সদস্য এবং সাধারণ মানুষ কাজ করছেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. জমির বলেন, ৫ মরদেহের কারও ফিঙারের ছাপের সাথে কোনো আইডি কার্ডের যোগসূত্র পাওয়া যায়নি। নিহতরা উদ্বাস্তু ধরনের মানুষ ছিলেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। এছাড়া তাদের বয়স নিয়েও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

এর আগে, সোমবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ৫ টা থেকে ৬ টার মধ্যে রায়পুরা উপজেলার খাকচক এলাকায় তূর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তাদের মৃত্যু হয় বলে ধারনা পুলিশের।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রেললাইনের পাশে ৫টি মরদেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন অবস্থায় দেখা যায়। খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে রেলওয়ে পুলিশসহ জেলা পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই। নিহতরা ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে কাটা পড়েছেন, না কী রেললাইনে বসা অবস্থায় কাটা পড়েছেন তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।