নরসিংদীর রায়পুরায় শীর্ষ মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদক সম্রাট রবিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

নরসিংদী রায়পুরা মরজালে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সম্রাট রবিনের বিরুদ্ধে মোসাঃ জাহানারা বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

খোজ নিয়ে জানা যায়, রবিন দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিওতে দেখা যায় রবিন নিজে ইয়াবা সেবন করছে ও অন্যান্যদেরকে ইয়াবা খাওয়াচ্ছে। এতে করে যুব সমাজ দিন দিন ধ্বংস হচ্ছে।

রবিন রায়পুরা উপজেলার সাব-রেজিষ্ট্রারের দলিল লেখক সমিতির সদস্য হয়ে বিভিন্ন মানুষদের টাকা আত্মসাৎ করার ও অভিযোগ উঠেছে।

মরজাল এলাকার বাসিন্দা মোসাঃ জাহানারা তার অত্যাচার ও নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পেতে রায়পুরা থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, রবিন মাদকাসক্ত হয়ে জাহানারার মা’কে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

মরজাল এলাকার বিউটি আক্তার নিজেকে মানবাধিকার এর সদস্য পরিচয় দিয়ে বলেন, রবিন একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী। সে বিভিন্ন সময়ে ভৈরব থেকে মাদক কিনে এনে এলাকায় বিক্রি করে ও নিজেও সেবন করে। এতে করে যুব সমাজ ধ্বংসের পথে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে সে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী মামলাসহ অন্যান্য মামলা দিয়ে হয়রানী করে। রবিনের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় একাধিক অভিযোগসহ নরসিংদী থানায় মামলা রয়েছে।

সে প্রতিদিন মোটর সাইকেলে করে রাতের আধারে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মাদক ক্রয়-বিক্রয় করে ও নিজেও মাদক সেবন করে।

কিছুদিন আগেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মাদক খাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যারা এটি ফেইসবুকে শেয়ার ও লাইক করেছেন তাদের বিরুদ্ধে এই রবিন চাঁদাবাজি মামলা দিয়েছে।

এদিকে মাদকের সম্রাট রবিনের নিকট বিষয়টি সংবাদকর্মীরা জানতে চাইলে সে কোন সদুত্তর দেননি। উল্টো যারা এই বিষয়টি প্রচার করবে তাদের বিরুদ্ধে সে চাঁদাবাজী মামলা দিবে বলে হুমকি প্রদান করে।

মরজাল এলাকার বাসিন্দা মো. আসাদ মিয়া জানান, রবিনের বাবা মোর্শেদ ভেন্ডার একজন সহজ-সরল মানুষ ছিলো। কিন্তুু তার ছেলে রবিন এলাকায় মাদকের সম্রাট নামে পরিচিত হয়েছে। মরজাল এলাকায় তার কারনে যুব সমাজ নষ্ট হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

এদিকে নরসিংদী মানবাধিকার সংস্থার সদস্যরা সংবাদকর্মীদেরকে জানান, বর্তমানে মাদকের ছড়াছড়ি এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে পুলিশ প্রশাসন তা নিয়ন্ত্রনে আনতে হিমশিম খাচ্ছে। বিভিন্ন কৌশল খাটিয়ে আইনের ফাক দিয়ে বের হয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুনরায় এদের প্রভাব বাড়াচ্ছে। এছাড়াও মাদক ব্যবসায়ীরা একতাবদ্ধ হয়ে সাধারন মানুষ যারা প্রতিবাদ করে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী মামলা দেয় যার কারনে প্রতিবাদ করা দুরুহ হয়ে পড়ছে।

এ বিষয়ে নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) জনাব অনির্বান চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে অপরাধীর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।