সম্প্রতি সময়ে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় ভুমি সেবা সপ্তাহ ২০২৩ইং উপলক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান লাইলা কানিজ লাকি, সাংবাদিক ও আইনজীবিদেরকে নিয়ে একটি বক্তব্য দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা সামলোচনার ঝড় উঠে।

অথচ পুরা বক্তব্যটি ভিডিতে না দিয়ে আংশিক পরিমান বক্তব্যটি দিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল স্বার্থ হাসিল করতে চেষ্টা চালাই বলে তিনি জানান, তার বক্তব্যে তিনি বলেন সাংবাদিক ও উকিল একটি মহৎ পেশা এই পেশাকে আমি সব সময় সম্মান করি। আমার বক্তব্যে কোন ভুল হলে আমি অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করছি।

নরসিংদী জেলার প্রবীন সাংবাদিক রাজু বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের যে বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে এতে করে আমাদের সাংবাদিকদেরও কিছু আংশিক পরিমান সম্মানহানী হয়েছে বলে আমি মনে করি। অথচ আজ উপজেলা চেয়ারম্যান লইলা কানিজ লাকি তার ফেইসবুক ভেরিফাই পেইজে যে দুঃখ প্রকাশ করেছে এতে করে আমরা খুবই খুশি হয়েছি যেহেতু একজন উপজেলা চেয়ারম্যান উকিল ও সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে সে ক্ষেত্রে তিনি তার মহত্ত্ব প্রকাশ করেছে।

নরসিংদীর আইনজীবি সারোয়ার আলম সংবাদকর্মীদেরকে জানান, লাইলা কানিজ লাকি, উপজেলা চেয়ারম্যান রায়পুরা, আমাদের আইনজীবিদেরকে নিয়ে বন্তব্য করায় তার ভেরিফাই ফেইসবুক পেইজে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সে ক্ষেত্রে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সঠিক কাজ করেছেন তাই আমরা আইনজীবিদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এইদিকে সাংবাদিক মজিবুর রহমান তিনি তার বক্তব্যে বলেন রায়পুরা উপজেলার চেয়ারম্যানের মূল বক্তব্য না দিয়ে আংশিক পরিমান বক্তব্য দিয়ে তার সুনাম নষ্ট করেছে অথচ প্রকৃত পক্ষে সাংবাদিকদের এই কাজ নয়। সাংবাদিকদের উচিত ঘটনা পর্যবেক্ষন করে মূল সত্যতা প্রকাশ করা।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, একজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে এ ধরনের শালীনতাবিবর্জিত বক্তব্য সম্পূর্ণ অনাকাঙ্খিত ও অগ্রহণযোগ্য। উপজেলা চেয়ারম্যান লাইলা কানিজ লাকি এমন অশালীন বক্তব্য দেশে-বিদেশে সাংবাদিক সমাজকে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান লাইলা কানিজ লাকি একজন আদর্শ রাজনীতিবিদ হয়েও তার কাছ থেকে আমরা এমন বক্তব্য আশা করি নাই। তিনি যেহেতু তার ভুল বুঝতে পেরেছেন তাই আমার তার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা আশা করি উনি ভবিষ্যতে এমন ধরনের বক্তব্য দিবেন না বলে আমরা আশাবাদী।

এদিকে বুধবার (২৪ মে) দুপুর ১২.০০ টায় চেয়ারম্যান লাইলা কানিজ লাকি সংবাদকর্মী রুদ্র’র নিকট তিনি বলেন, সাংবাদিকতা ও ওকালতী একটি মহৎ পেশা, এই পেশায় যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তাদের কাছে সাধারন জনগন গেলে খুব সহজেই সেবা পাই। আমি সবসময় তাদের সম্মানের সহিত দেখি এবং তাদের নিয়ে গর্ববোধ করি। আমার কোনো বক্তব্যে যদি কেউ হেনস্ত হয়ে বা কষ্ট পেয়ে থাকে তাহলে আমি অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করছি।