নরসিংদীর রায়পুরায় অজ্ঞাত দুই মরদেহের পরিচয় শনাক্ত
নরসিংদীর রায়পুরায় কলা বাগান থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত দুই মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে পরিবারের সদস্যরা তাদের মরদেহ শনাক্ত করেন। এর আগে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের শেরপুর এলাকার একটি কলাবাগান থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তারা হলেন, শিবপুর উপজেলার পাহাড় ফুলদী এলাকার আব্দুল মন্নাফের ছেলে দ্বীন ইসলাম (৩৫) ও রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের লোচনপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের ছেলে আলী হোসেন (৪৫)।
রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জুয়া খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে এ হত্যাকা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারনা করছেন নিহত আলী হোসেনে স্ত্রীর শিখা বেগম। তার স্বামী একজন পেশাদার জুয়াড়ি ছিলেন বলে জানান তিনি।
শিখা বেগম বলেন, ‘পরনের কফি কালার শার্ট ও সাদা-কালো রং এর লুঙ্গি দেখে স্বামীর লাশ শনাক্ত করি।
এর আগে রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাকে ফোনে ডেকে নেয়। তারপর রাত পেরিয়ে সকাল হলেও বাড়ি ফেরেননি আলী হোসেন। সোমবার শেরপুরের একটি কলাবাগান থেকে তার স্বামীসহ আরো এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, তার স্বামীর আরও একজন স্ত্রী আছেন। সতিন ও তিনি পলাশের ঘোড়াশালের একটি কারখানায় চাকরি করেন। আলী হোসেনের জুয়া খেলার নেশা ছিল। এর আগে দুইবার জুয়া খেলার পাওনা টাকার জন্য তাকে আটক করেছিল লোকজন। জুয়া খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে আলীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা তার স্ত্রী শিখা বেগমের।
অপরদিকে মঙ্গলবার সকালে রায়পুরা থানায় গিয়ে লাশ শনাক্তের বিষয়টি জানান নিহত দ্বীন ইসলামের মা। তবে দ্বীন ইসলামের সম্পর্কে জানতে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, রোববার (৪ ডিসেম্বর) রাতের কোন এক সময় আলী হোসেন ও দ্বীন ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন সোমবার দুপুরে উপজেলার শেরপুর এলাকার একটি কলাবাগানে দুটি মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। ত্রিপল নাইনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহত দুজনের মুখ, মাথা, হাত ও ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মুখ থেঁতলে যাওয়ায় প্রথমে লাশ শনাক্ত করা যায়নি। পরে তাদের পরনের কাপড় দেখে লাশ শনাক্ত করে স্বজনরা।
রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার বলেন, জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন