নরসিংদীর রায়পুরায় নিখোঁজের ২৪ঘন্টা পরও সন্ধান মিলেনি শিশু সায়া’দের

নরসিংদীর রায়পুরায় নিখোঁজের ২৪ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও সন্ধান মিলেনি ৪বছরের শিশু সায়া’দের। ঘটনাটি ঘটেছে রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের চর মরজাল (মধ্যপাড়া) গ্রামে। নিখোঁজ সায়া’দ সৌদি আরব প্রবাসী আক্তার মিয়ার ছেলে।

সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৭মার্চ) সকাল আনুমানিক ৭ঘটিকায় ঘুম থেকে উঠে ঘর থেকে বের হয় সায়া’দ। প্রতিদিনের মতো প্রতিবেশী মিজান মিয়ার ঘরে ঢুকে সে। মিজান মিয়ার একমেয়ে মোফাসসিরা সায়াদের সমবয়সী। তাই প্রতিনিয়ত তার সাথে খেলা করে সায়া’দ। খেলা শেষে প্রতিদিন ঘরে ফিরলেও সেদিন আর ঘরে ফিরেনি শিশু সায়া’দ।

বৃহস্পতিবার (১৭মার্চ) সকাল আনুমানিক ৮ঘটিকা থেকে শিশু ফায়াদ’কে আর খোঁজে পাওয়া যায়নি।

ফায়াদের মা নির্বাক, কোন কথা বলতে না পারাই তার দাদী রোকেয়া বেগম জানান, আমার নাতি প্রতিদিনই মিজানের মেয়ে মোফাসসিরার সাথে খেলতে যায়। গতকালও খেলতে গেছে, পরে আর ফিরে আসেনাই। তিনি আরও জানান, প্রতিবেশী মিজানের বউ তাসলিমা দীর্ঘদিন যাবৎ বহিরাগত এক ছেলের সাথে পরকিয়া করে আসছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টায় তার দুই জ্যা আমাকে ঢেকে সজাগ করাই এবং বলে তাসলিমার ঘরে পর পুরষের কথা শুনা যায়। পরে আমি তাসলিমাকে ঢেকে দরজা খুলে লাইট নিয়ে ঘরে প্রবেশ করি এবং দুজনকেই হাতে নাতে ধরি। এসময় তাছলিমা ও তার পরকিয়ার টানে আসা ছেলেটি খুবই শারীরিক ভাবে ঘামছিল। পরে আমি মিজানের ভাই অর্থাৎ তাছলিমার ভাসুর, তার দুই জ্যা, আরেক ভাতিজার হাতে সোপর্দ করে আমি আমার ঘরে চলে আসি। পরে বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে তাসলিমা যখন বাড়ী থেকে বাবার বাড়ী চলে যায় তখন থেকেই আমার নাতি ফায়া’দও নিখোঁজ হয়। আমার ধারণা আমি তার খারাপ কাজে বাধা দেওয়াই আক্রোশ করে সে আমার নাতি সায়াদ’কে গুম করেছে। আমি আমার নাতিকে ফেরত চাই, একথা বলেই তিনি কান্নাই ভেঙে পড়েন।

অপর দিকে প্রতিবেশী মিজানের স্ত্রী তাসলিমা বেগমের সাথে যোগাযোগ করলে তার উপর আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমার উপর মিথ্যা কলংক দেয়ার কারণে বাবার বাড়ী চলে গিয়েছিলাম। সায়াদের নিখোঁজের খবর পেয়ে আবার বাড়ী চলে আসি।

সায়া’দের নিখোঁজের ঘটনায় তাসলিমা ও তার পরিবার সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যাক্তিগনও। তারা স্থানীয় প্রশাসনের দ্রত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

নিখোঁজের ঘটনায় রায়পুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ডায়েরি নং ১১৬০।

এবিষয়ে রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) গোবিন্দ সরকার জানান, খবর পেয়ে গত রাতেই রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুর রহমান ও তার সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিখোঁজ হওয়া শিশু ফায়াদ’কে খুঁজে বের করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।