নরসিংদীর রায়পুরা নির্বাচন অফিসে এনআইডি কার্ডে টাকা নেয়ার অভিযোগ
চরম হয়রানি ও অনিয়মের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন অফিস।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কাজে গেলেই হতে হয় ভোগান্তির শিকার। অফিসের কর্মচারীদের রূঢ় ব্যবহারে দূর-দূরান্তের ভোটাররা অতিষ্ঠ বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ইউপি নির্বাচনের দোহাই দিয়ে কর্মকর্তারা জরুরি কাজগুলো আটকে দেন বছেরর পর বছর। এমনও আছে যে, ২০১৭ সালে নাম সংশোধনী করতে এখনো নির্বাচন অফিসের কর্তাব্যক্তিদের পেছনে ঘুরছেন অনেকে।
পহেলা ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন অফিস চত্বরে সৌদি প্রবাসী আসাদ মিয়া দৌড়ে এসে অভিযোগ করে বলেন, আমি সৌদি থাকার কারণে সঠিক সময়ে ভোটার হতে পারিনি। তাই গত বেশ কিছু দিন যাবৎ আমি রায়পুরা নির্বাচন অফিসে আবেদন কপি সহ ঘুরাঘুরি করছি। কিন্তু কোন সমাধান পাচ্ছি না। উল্টো অফিস কর্মকর্তারা খারাচ আচরণ করছে এবং আবেদন দেরী হবে বলে সাফ জানিয়ে দেয়। কিন্তু টাকা দিলে সব সমাধান হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি কোন উপায় না পেয়ে দালাল ধরে ৮ হাজার টাকা দেওয়ার পরে খুব সহজেই আমার ফাইলটি জমা নিয়েছে এবং খুব দ্রুত ফিঙ্গার করিয়ে দিবে বলে কর্তৃপক্ষ জানান।
রায়পুরা উপজেলার পলাশতলী গ্রামের হোসেন সরকার জানান, তিনি দুই মাস আগে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু তার ছবি তোলা হচ্ছিল না। ২ দিন আগে এক অফিস সহায়কের নিকট এ বিষয়ে কথা বলছে তিনি বলেন ৫ হাজার টাকা দিলে ছবি তোলার এসএমএস যাবে।
এ বিষয়ে রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন অফিসের গেইটে ঢুকলে মূল গেইটের পাশেই অনেক দালাল লক্ষ্য করা যায়। সংবাদকর্মীদের ক্যামেরা দেখে তৎপর হয়ে পরে অনেক দালাল।
অপরদিকে আরেক দালালকে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৫টি ফাইল নিয়ে দর কষাকষি করছে। এ বিষয়ে তার পরিচয় জানতে চাইলে, তিনি বলেন অফিসকে ম্যানেজ করেই আমরা এখানে কাজ করছি। আপনার সাথে এ বিষয়ে ক্যামেরা সামনে কথা বলতে আমরা রাজি নয়। যদি কিছু বলার থাকে অফিস কর্তৃপক্ষকে বলেন। আমরা অফিসের লোকদেরকে ম্যানেজ করেই এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছি।
রায়পুরা উপজেলার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, মোঃ নূর উদ্দিনকে সংবাদকর্মী রুদ্র রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন অফিসের দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রায়পুরা নির্বাচন অফিসে কিছু দুর্নীতি হচ্ছে শুনছি। কিন্তু সঠিক প্রমাণ পাচ্ছি না। তবে আমি যতদূর জানি, অফিস প্রধান এই বিষয়ে জড়িত নয়।
রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন অফিসার সুমন মিয়া মোবাইল ফোনেবলেন, এ সমস্ত বিষয়ে আসলে আমি কিছুই জানি না। তবে নির্বাচনের কারণে জাতীয় পরিচয় পত্রের কাজ সাময়িক বন্ধ ছিল। আজকে থেকে কাজ আবার চালু হয়েছে। এখন আমার অফিসের কোন কর্মকর্তা যদি ঘুষ কিংবা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকে কিংবা কেউ যদি তাদের বিরুদ্ধে লিখিত ও মৌখিক অভিযাগ করে তাহলে আমি অবশ্যই উক্ত কমকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থ নিব।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন