নরসিংদীর শিবপুরে গুলিবিদ্ধ চেয়ারম্যান নিহত; প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৩ মাস পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওযামী লীগের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ খান (৭৫)।

বুধবার (৩১ মে) বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান তিনি।

তার মৃত্যুর খবরে স্থানীয় আওযামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা শিবপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিলসহ সড়ক অবরোধ ও টায়ার জ্বালিযে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। বিকেলে শিবপুরের কলেজ গেইট ও ইটাখোলা মোড়ে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন তারা। সন্ধ্যায ঢাকা—সিলেট মহাসডকের ইটাখোলা মোড়ে সডকে টাযার জ্বালিযে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া মহাসড়কের কামারটেক, চৈতন্যা, সৃষ্টিঘর বাসস্ট্যান্ড এলাকায়ও টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করা হয়। এসময় মহাসড়কের অন্তত দুই কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় ২ ঘন্টা পর অবরোধ সরিয়ে নেয়া হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে উপজেলা সদরের নিজ বাসভবনে দূর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। এরপর রাজধানী ঢাকা ও দেশের বাইরে চিকিৎসা নিযেছেন তিনি। সবশেষ গত ১৯ মে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ারের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আই সি ইউ) তে ভর্তি করা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় তার।

শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম ভূঁইযা রাখিল বলেন, প্রিয নেতার মৃত্যুতে স্থানীয় নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ ও সডক অবরোধ করেছে। আমরা চাই এই নেতার হত্যাকারীদের সুষ্ঠু বিচার হোক। বৃহস্পতিবার বাদ যোহর জানাজা নামাজের পরে আমরা দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করবো।

হারুনুর রশিদ খান দীর্ঘ ২৫ বছর শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাডা বর্তমানে শিবপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ছিলেন।