নরসিংদী জেলখানার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা কম থাকায় যানজটের সৃষ্টি, ভোগান্তিতে জনসাধারন
নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জেলখানা মোড় শহরের প্রানকেন্দ্র। এই মোড়ে বিভিন্ন জেলা থেকে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে প্রতিনিয়ত আদালতে ও বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে। কিন্তুু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর হতেই ট্রাফিক পুলিশ আগের মতো দায়িত্ব পালন করছে না যার কারনে চরম যানজট পোহাতে হচ্ছে নাগরিকদের।
এদিকে বেলাবো থেকে আসা মো. আসাদ মিয়া সংবাদকর্মী রুদ্রকে বলেন, আমি জেলখানা মোড় থেকে নরসিংদী কোর্টে যাওয়ার জন্য ২০ টাকা দিয়ে রিক্সায় উঠেছিলাম। ৩ মিনিটের রাস্তা পের হতে লেগে গেছে ৩০ মিনিট। এতে করে আমার আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময় বিলম্ব হয়েছে।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন বিগত সময় ট্রাফিক পুলিশ যেমন দায়িত্ব পালন করতো। এখন সেই কাজটি ঢিলেঢালা ভাবে করছে। আমি দেখছি এখন তেমন তাদের কাজে তৎপরতা নেই। যার ফলে মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে নরসিংদী জেলখানার মোড়ে ব্যবসায়ী মোঃ শাহীন মিয়া সংবাদকর্মীদেরকে জানান, আন্দোলনের ০৯ দিন পর জেলখানার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ আসলেও আগের মতো তেমন তৎপরতা দেখা যায় না। যার কারনে লোকাল পরিবহনগুলো এলোপাথারি এদিক সেদিক রাখার কারনে রাস্তায় জ্যাম লাগছে।
ট্রাফিক পুলিশ তাদেরকে নিয়ম মতো গাড়ি চালানোর কথা বললেও তারা ট্রাফিক পুলিশদের আগের মতো মানতেছে না। যার ফলে জ্যাম লেগে যাচ্ছে রাস্তায়।
এদিকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা সংবাদকর্মীদেরকে জানান আমরা পরিবহন থেকে আগের মতো মামলা দিতে পারছি না। এতে করে পরিবহন শ্রমিকরা এই সুযোগ ব্যবহার করে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি করছে। আমরা সরে যেতে বললে উল্টো তারাই আমাদের উপর প্রেশার দিতে থাকে। আমাদের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশনা আসলে আমরা কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে রাজী আছি।
এদিকে নরসিংদী জেলার ট্রাফিক ইউনিটের নিকট একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে, তাদের মোবাইলে কাউকে পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, পুলিশ সদস্যদেরকে আগের মতো পুনরায় তাদেরকে নিয়মমাফিক কার্যবিধি গতিশীলতা ফিরিয়ে আনলে মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। নাহলে চরম ভোগান্তিতে পড়বে সাধারন নাগরিকরা।
এ বিষয়ে নরসিংদী জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল হান্নান এর নিকট গণমাধ্যম কর্মীরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। যেহেতু তিনি নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় ফোনটি রিসিভ করতে পারেননি বলে জানিয়েছে পুলিশের কর্মকর্তারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন