নরসিংদী জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর মতবিনিময়

১৯৭১ সনের পরাজিত শক্তি ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল দ্বারা ১৯জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগার, জেলা পরিষদ, ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি, মাধবদী পৌরসভাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ধবংস করার জন্য আক্রমন চালিয়ে ছিলো বলে জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক—এমপি।

তিনি আরোও বলেন, কোটা আন্দোলনের নামে সারাদেশে হত্যাযজ্ঞ চালাতে নরসিংদীর কারাগার থেকে জঙ্গীদেরকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ২০১৮ সালের জ্বালাও পোড়াও এর সঠিকভাবে বিচার করা হলে আজ অপশক্তিরা এভাবে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠতে পারত না। এবার তাৎক্ষনিক বিচার না করা হলে, তারা আবার দেশের ক্ষতি করতে পারে। তারা কচ্চপের মাথা ডুকে রেখেছে কয়েকদিন পর মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে।

তিনি বলেন, এ হামলা সরকারের বিরুদ্ধে না, বাংলাদেশকে অকার্য্যকর করার জন্য ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মোকাবেলা করার জন্য আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুলিশ, বিজিপি এবং সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় স্বাভাবিক অবস্থায় দেশ ফিরে আসছে, প্রশাসনের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে নরসিংদীর পাঁচদোনা মোড় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেকস প্রাঙ্গনে জেলা প্রশাসক ড.বদিউল আলম এর সভাপতিত্বে ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালিব পাঠান এর সঞ্চলনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক—এম পি তাঁর বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এসময় বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল,পরাজিত শক্তিরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব মেনে নিতে পারে নাই, পরাজিত শক্তিরা বার বার ষড়যন্ত্র করছে । মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গর্জে ওঠুক আরেক বার, দেশ স্বাধীনের পর আমরা মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র জমা দিয়েছি, টেনিং জমা দেয়নি।

নরসিংদী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল কমান্ডের উদ্যোগে জেলা মুক্তিযোদ্ধাদের মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী শাহাজান খান—এমপি, নরসিংদী সদর আসনের সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল কমান্ড এর চেয়ারম্যান মেজর জে: (অব:) হেলাল মুর্শেদ,জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান,নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জিএম তালেব হোসেন,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আনোয়ার হোসেন,জেলা জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম ভুইয়া,রায়পুরা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড এর সাবেক কমান্ডার যুদ্ধাহত মো: নজরুল ইসলাম,বীরমুক্তিযোদ্ধা লসকর মিয়া ও বীরমুক্তিযোদ্ধা মহাদেব সাহা,নরসিংদী সরকারী কলেজ সাবেক ভিপি মিঞা মো: মঞ্জু ও সাবেক জিএস এস এম কায়ুম সরকার,জেলা ট্রাক,বাস শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি রিপন সহ জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।