নাইজেরিয়ায় মসজিদে হামলা চালিয়ে ১৯ জনকে অপহরণ: এএফপি


নাইজেরিয়ায় মসজিদে হামলা চালিয়ে ১৯ মুসল্লিকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। দেশটির উত্তর-পশ্চিমের প্রত্যন্ত এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) পুলিশ এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপির।
স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র গাম্বো ইসাহ বলেন, গত শনিবার মাগরিবের নামাজের সময় কাতসিনা রাজ্যের মাইগামজি গ্রামের একটি মসজিদে হামলা চালানো হয়। গুলি চালিয়ে ইমাম ও অন্য মুসল্লিদের আহত করে এই অপহরণের ঘটনা ঘটানো হয়।
গাম্বো ইসাহ বলেন, ‘আমাদের (পুলিশ বাহিনী) সদস্যদের সেখানে পাঠানো হয়েছে এবং তাঁরা দস্যুদের ধাওয়া করেন। অপহরণকারীদের হাত থেকে ছয়জন মুসল্লিকে তাঁরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।
বাকি ১৩ জনকে উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’পুলিশ মুখপাত্র গাম্বো ইসাহ আরও বলেন, আহত দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে দস্যু নামে পরিচিত এই অপরাধী চক্রের তৎপরতার কারণে উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য নাইজেরিয়ার বাসিন্দারা তটস্থ থাকেন। এই দস্যুরা গ্রামে হামলা চালিয়ে গবাদিপশু নিয়ে যায়, মুক্তিপণের জন্য লোকজনকে অপহরণ করে এবং জিনিসপত্র লুটের পর বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়।সাধারণত অপরাধী চক্রকে মুক্তিপণ দেওয়ার পর বন্দীরা ছাড়া পান। চক্রটি বিশাল রুগু বনে আস্তানা গড়ে তুলেছে। এই বনটি কাতসিনাসহ উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ার চারটি রাজ্যে বিস্তৃত।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত মাসে পার্শ্ববর্তী কাদুনা রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে দস্যুদের একের পর এক হামলায় ১৫ জন নিহত হন। আহত হন কয়েকজন।এই সহিংসতা বন্ধে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহাইরি ব্যাপক চাপে আছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে আট বছর মেয়াদ শেষে আগামী বছর তিনি দায়িত্ব ছাড়তে যাচ্ছেন।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন