সোহরাওয়ার্দীর নাগরিক সমাবেশে কাদের সিদ্দিকী ও নাজমুল হুদা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নাগরিক সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। সমাবেশ মঞ্চের সামনে সরকার দলীয় মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তাদের বসে থাকতে দেখা যায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় (শনিবার) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এ নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করে। নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথি রয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। সমাবেশ পরিচালনা করছেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী।
কাদের সিদ্দিকী : মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাদের সিদ্দিকী ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি ছিলেন। পরবর্তী সময়ে মতপার্থক্যের কারণে দল ত্যাগ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করেন তিনি। এরপর থেকে তিনি আওয়ামী লীগের একজন কড়া সমালোচক। তবে বরাবরই তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার একনিষ্ঠ ভক্তির কথা প্রকাশ করে থাকেন।
গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ এ সহচর ধানমন্ডির ৩২ নাম্বারে যান সপরিবারে। তখন সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ছিলেন। প্রথমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। বিষয়টি জানতে পেরে প্রধানমন্ত্রী নিজে লোক পাঠিয়ে তাকে ভেতরে নেন। এ সময় কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে একান্তে কথা বলেন শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। এ খবর গণমাধ্যমে আসার পর থেকে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে কাদের সিদ্দিকী কি আবার আওয়ামী লীগে ফিরছেন! যদিও এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন কাদের সিদ্দিকী।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা : বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তিনি ‘বাংলাদেশ জাতীয় জোট’ নামের একটি জোটও ঘোষণা করেন। তবে তাতে কোন কোন দল অন্তর্ভুক্ত হবে তা জানাননি আলোচিত-সমালোচিত এ নেতা।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের জন্য বিএনপিকে দায়ী করে দলটির প্রতিষ্ঠাতা স্থায়ীকমিটির এ সদস্য বলেছিলেন, কোটি কোটি মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। যদি বলি বিএনপি মানুষকে ভোট থেকে বঞ্চিত করেছ- তা কি ভুল হবে? আমি বার বার বলেছি বিএনপি ভুল করেছে। একের পর এক ভুল করতে করতে দলটির এখন দৈন্যদশা।
প্রসঙ্গত, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপের জন্য ২০১০ সালে তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে বহিষ্কার করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর তিনি গঠন করেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)। পরবর্তী সময়ে তাকে বিএনএফ থেকেও বহিষ্কার করা হয়। পরে গত মে মাসে তিনি গঠন করেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স-বিএনএ। তবে তাতেও তেমন সাড়া পাননি। গত ১ অক্টোবর গুজব ছড়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নাজমুল হুদাকে ডেকেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন