নাব্য সঙ্কট : শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত
দক্ষিণাঞ্চলে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে ফেরি চলাচলে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সোমবার সকাল থেকে ৫টি ফেরি দিয়ে কোনো রকমে ছোট যানবাহন পারাপার সম্ভব হচ্ছে। তবে ভারী যানবাহন বিকল্প পথ দিয়ে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, সোমবার সকাল থেকে ফরিদপুর, ঢাকা, কুমিল্লা, কাকলী, করবী ও কেতকী দিয়ে ছোট যানবাহনসহ যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। নাব্যতা সঙ্কটের কারণে গতরাতে লেনটিন, রায়পুরা ও যমুনা যানবাহনসহ লৌহজং চ্যানেলে আটকে যায়। তবে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লেনটিন ফেরিটি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, চ্যানেলটিতে ড্রেজিংয়ের জন্য ড্রেজার বসানো হয়েছে। তবে কবে নাগাদ ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে তা বলা যাচ্ছে না। তবে এ রুট দিয়ে আপাতত হালকা ছোট যানবাহন পারাপার কারা সম্ভব।
মাওয়া-কাওরাকান্দি ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. সিদ্দিক জানান, রোববার রাতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি টিম শিমুলিয়া ঘাট এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। নদীর বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারী যানবাহনগুলো পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে পারাপার হবে। শুধু নাইট কোচ ও ছোট যানবাহন এ রুট দিয়ে পারাপার হবে।
তিনি আরও জানান, গত রাত থেকে এ পর্যন্ত আনুমানিক দেড় থেকে দুইশত ট্রাকসহ ভারি যানবাহন শিমুলিয়া-মাওয়া থেকে চলে গেছে। আরও অনেক ট্রাক চলে যাচ্ছে। কিন্তু বিকল্প পথ দিয়ে যেতে অতিরিক্ত খরচ হবে বলে কিছু কিছু ট্রাক ঘাট এলাকায় বসে আছে। আর্থিক সমস্যার কারণে তারা বিকল্প পথ দিয়ে যেতে পারছে না, তাই অপেক্ষা করছে।
মাওয়া নৌ-ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর (টু আইসি) মো. জামসেদ জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ রুটে ১৯টি ফেরির মধ্যে ৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যা যানবাহনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য। ফেরি চলাচলের এ রুপ বিপর্যয় এ রুটে বিগত সময়ে দেখা যায়নি। গত রাতে পদ্মার লৌহজং চ্যানেলটিতে তিনটি ফেরি আটকে ছিল। এর মধ্যে একটি উদ্ধার করা হয় সকালে। রায়পুরা নামের অপর ফেরিটি স্রোতের টানে চাঁদপুরের পালের চরের দিকে চলে যায়। যা উদ্ধারে কাজ চলছে।
তিনি আরও জানান, ঘাট এলাকায় ছোট যানবাহন ও বাস মিলিয়ে প্রায় ৩শ গাড়ি রয়েছে। এছাড়াও প্রায় শতাধিক মালবাহী যানবাহনও রয়েছে।
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ৮৭ টি লঞ্চ ও ৩ শতাধিক সি-বোর্ড রয়েছে যাত্রী পারাপারের জন্য। যা স্বাভাবিক ভাবেই চলাচল করছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন