নায্যতা, মানবাধিকার ও বিশ্বশান্তির প্রশ্নে কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ প্রত্যাশিত নয়: ধর্মমন্ত্রী
ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, নায্যতা, মানবাধিকার ও বিশ্বশান্তির প্রশ্নে কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ প্রত্যাশিত নয়। এরূপ আচরণ ভালো ফল বয়ে আনে না।
শুক্রবার (২৪ মে) সকালে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘বিশ্বশান্তি-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাপ্তাহিক গণবাংলা ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও এর জনগণের অধিকারের পক্ষে বাংলাদেশ সবসময় সরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবীর পক্ষে বাংলাদেশ সবসময় উচ্চকিত। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ফিলিস্তিনের পক্ষে, নায্যতার পক্ষে। বাংলাদেশ ইসরায়েলের অবৈধভাবে ফিলিস্তিন দখলের নিন্দা জানাই এবং এটি বন্ধের জন্য জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সোচ্চার ভূমকিা পালন করে আসছে।
ফিলিস্তিনের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং মধুর। এ কারণে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের প্রতি অব্যাহত সমর্থন ব্যক্ত করে আসছে এবং এই সমর্থনের অংশ হিসেবে গত ৫৩ বছরে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি বাংলাদেশ। সারাবিশ্বে বাংলাদেশেই একমাত্র দেশ, যেদেশ তার পাসপোর্টে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করে রেখেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমলিন উক্তি ‘বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত – শোষক এবং শোষিত; আমি শোষিতের পক্ষে’ উদ্ধৃত করে ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমরা যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। আমাদের অবস্থান মাবনাধিকার ও নায্যতার পক্ষে। আমাদের অবস্থান শান্তি ও সহাবস্থানের পক্ষে। শোষক ও শোষিতের মধ্যে আমাদের অবস্থান সবসময় শোষিতের অনকূলে।
মোঃ ফরিদুল হক খান বলেন, মক্কা ও মদিনার পর জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদকে ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বের ২০০ কোটি মুসলিমের আবেগ-অনুভূতির সাথে জেরুজালেমের সম্পর্ক। ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের ১৫ কোটির বেশি মুসলমানের আবেগ-অনুভূতির সাথেও জেরুজালেমের সম্পর্ক। মুসলমানদের এই অনুভূতিকে অবশ্যই সম্মান দেখাতে হবে, শ্রদ্ধা জানাতে হবে। তিনি ইসরাইল এবং তার মিত্রদেরকে আগ্রাসী চিন্তা-চেতনা ও কর্মকাণ্ড পরিহার করার অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য লায়ন মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মোঃ আওলাদ হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য বলরাম পোদ্দার, আইডিইবি’র সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মোতালিব হোসেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এম এ করিম প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন