নাশকতাকারীদের শক্ত হাতে দমন করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন যারা নাশকতা করছেন তারা ছাত্র না, সন্ত্রাসী। এই সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।
তিনি আরও বলেন, এর যেসব জায়গায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, জ্বালাও-পোড়াও করেছে সব তদন্ত হবে। সব তদন্ত ও বিচার হোক এটা আমি চাই।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সহিংসতায় যেসব হত্যার ঘটনা ঘটেছে সেই হত্যা যারাই করুক, সে পুলিশ হোক, ছাত্র হোক, সে যেই হোক, সব তদন্ত হবে। তাদের বিচার হবে।
অপরদিকে যেসব শিক্ষার্থী সহিংসতায় জড়িত নয়, হত্যাকাণ্ডে জড়িত নয়, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
দেশে চলমান আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে সকাল ১১টার দিকে নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সভাপতিত্ব করেন। বর্তমান সরকারের মেয়াদে এটিই জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত সর্বোচ্চ এই নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষের প্রথম বৈঠক।
এর আগে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের প্রায় দেড় মাস আগে ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর এই কমিটি বৈঠকে বসেছিল।
স্বরাষ্ট্র, তথ্য, আইন, অর্থ, পররাষ্ট্র, পরিকল্পনা, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রীসহ ২৭ সদস্যের কমিটির সব সদস্য; মন্ত্রিপরিষদ সচিব; প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব; এবং সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানসহ সংশ্লিষ্টরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনকারীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তাদের শক্ত হাতে দমনে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (৪ আগস্ট) গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভা থেকে বেরিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন যারা নাশকতা করছে, তারা কেউই ছাত্র নয়। তারা সন্ত্রাসী। এই সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।
বেলা ১১টায় গণভবনে বৈঠকে বসে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি। বৈঠকটি শেষ হয় ২টার দিকে।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক খোদ প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সচিব, সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, ফোর্সেস ইন্টিলিজেন্স ও এনএসআই এর প্রধানসহ এই কমিটির মোট সদস্য ২৯ জন।
২০১৯ সালে গঠিত নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির কাজ হচ্ছে, দেশের নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যাবলি ও কার্যক্রমের পুনরীক্ষণ, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতি মূল্যায়ন ও পুনরীক্ষণ, দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়য়াদির উপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান ও প্রয়োজনবোধে মন্ত্রিসভার জন্য সুপারিশ প্রণয়ন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি। এই কমিটির সাচিবিক সহায়তা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এর আগে সবশেষ গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের প্রায় দেড় মাস আগে ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর এ কমিটি বৈঠকে বসেছিল। সেদিক থেকে সরকারের বর্তমান মেয়াদে এটিই হচ্ছে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সর্বোচ্চ এই নীতি-নির্ধারণী কর্তৃপক্ষের প্রথম বৈঠক।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন