নাশকতাকারীরা কোনভাবেই দেশপ্রেমিক হতে পারে না -ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর একের পর এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। নানামুখী আন্দোলন-সংগ্রাম ও নাশকতার মাধ্যমে সরকারের পথযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। এরূপ নাশকতাকারীরা কোনভাবেই দেশপ্রেমিক হতে পারে না।
(২৮ ডিসেম্বর) বিকালে চট্টগ্রামের লালখান বাজারে জামেয়াতুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে মরহুম ড. জামাল নজরুল ইসলামের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। মরহুম ড. জামাল নজরুল ইসলাম স্মৃতি সংসদ এ স্মরণসভার আয়োজন করে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সরকার দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ৫ মাস অতিক্রান্ত হতে যাচ্ছে। এই সময়ে প্রতিমাসেই কোন না কোন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে। এসময়ে সচিবালয় ঘেরাও করা হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ানো ও পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাত উস্কে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
কিন্তু সরকার সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সরকারের ব্যর্থ হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। এই সরকার ব্যর্থ হলে অমানিশা নেমে আসবে। তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানান।
নাশকতাকারীদের প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, নাশকতাকারীদেরকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ড. জামাল নজরুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করে উপদেষ্টা বলেন, তিনি অত্যন্ত সজ্জন, বিনয়ী ও সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। মাদ্রাসার প্রতিও তাঁর গভীর অনুরাগ ছিল। তিনি এই জামেয়াতুল উলুম লালখান বাজার মাদরাসা প্রতিষ্ঠার জন্য ৩০ বিঘা জমি দান করে গেছেন। তাঁর এ অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, ড. জামাল নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন নির্মোহ দেশপ্রেমিক। তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ বেতনের চাকরি ত্যাগ করে দেশে ফিরে এসে মাত্র আড়াই হাজার টাকা বেতনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ড. জামাল নজরুলে রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। এছাড়া, উপদেষ্টা ড. জামাল নজরুল ইসলামকে নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
জামেয়াতুল উলুম লালখান বাজার মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক মুফতি মুহাম্মদ ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ডা. শাহাদত হোসাইন। এ অনুষ্ঠানে ইরান দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর সৈয়দ রেজা মীর মোহাম্মদী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার প্রমূখ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপদেষ্টা চট্টগ্রাম মহানগরে কল্পলোক আবাসিক এলাকায় জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক বোরহান উদ্দিন মোঃ আবু আহসান উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন