নিউইয়র্ক হামলার আকায়েদের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে
নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে বাস টার্মিনালের বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে আটক বাংলাদেশি আকায়েদ উল্লাহর (২৭) বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের মুসাপুর ইউনিয়নে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার মুসাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আকায়েদের বাড়ি মুসাপুর গ্রামে বলে জানতে পেরেছি। তার বাবার নাম সানাউল্লাহ। তবে তারা ছোটবেলা থেকেই গাজীপুর থাকতেন বলেও জানতে পেরেছি। আমি নিজে তাদের গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। সেখানে তাদের আত্মীয় স্বজন আছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ নেবো। এরপর তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।’
জানা গেছে, আকায়েদের গ্রামের বাড়ি ভুটান বা বোতান তালুকদারের বাড়ি নামে পরিচিত। ২০ বছর বয়স পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকলেও খুব পরিচিত নয় সে এলাকায়। কারণ, তার বেড়ে ওঠা ঢাকার হাজারিবাগে। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যায় ২০১১ সালে।
এদিকে, বিবিসির এক প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্ক সিটির পুলিশ কমিশনার জেমস ও’নেইল এর বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘আকায়েদের শরীরে বিস্ফোরক ডিভাইস সংযুক্ত ছিল। বোমাটি আকায়েদের শরীরে বিস্ফোরণ হওয়ায় সে নিজেসহ আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের ম্যানহাটনের বেলভ্যু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
সিবিএস নিউজ জানায়, আকায়েদের বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাবা-মায়ের সঙ্গে সে যুক্তরাষ্ট্রে আসে। পরে আকায়েদ স্থায়ী মার্কিন অধিবাসী হিসেবে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে বসবাস করতে শুরু করে। এদিকে বাংলাদেশি পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়, এ বছরের ৮ সেপ্টেম্বর আকায়েদ শেষ বারের মতো বাংলাদেশে এসেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের দাবি, আটক আকায়েদ জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস দ্বারা অনুপ্রাণিত। কিন্তু তার সঙ্গে আইএস-এর সরাসরি কোনও যোগাযোগ ছিল না।
এ ব্যাপারে নিউ ইয়র্ক সিটির পুলিশ কমিশনার ও’নেইল বলেন, ‘আকায়েদ মুখ খুলতে শুরু করেছে কিন্তু আমরা এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
নিউ ইয়র্ক সিটি ট্যাক্সি এবং লিমোজিন কমিশন জানিয়েছে, ‘আকায়েদ ট্যাক্সিচালক হিসেবে কাজ করতো। ২০১২ মার্চ থেকে ২০১৫ মার্চ পর্যন্ত তার নামে ট্যাক্সির লাইসেন্স করা ছিল।’
এদিকে, বাংলাদেশের পুলিশ মহাপরিদর্শকের এ কে এম শহিদুল হক বলেছেন, ‘আকায়েদের নামে বাংলাদেশে কোনও অপরাধমূল কর্মকাণ্ডের রেকর্ড নেই।’
এ ব্যাপারে সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে চট্টগ্রামের সন্দীপ থানার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা জেনেছি। খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়েছে। আকায়েদ ও তার স্বজনদের অতীত রেকর্ডের ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি। ঠিকানা নিশ্চিত হয়ে সঠিক তথ্য পেতে একটু সময় লাগবে।’সৌজন্যে : বাংলা ট্রিবিউন
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন