নিখোঁজের ২০ ঘন্টা পর সাতক্ষীরায় জাঁক দেয়া পাটের আঁটির নিচে শিশুর লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের ২০ ঘন্টা পর ৭ বছরের শিশু মেহেদী হাসানের মৃতদেহ মিললো বাড়ির পাশে রাস্তার ধারের ধানক্ষেতে জাঁক দেয়া আঁটিবাধা পাটের নিচে।
বুধবার (১৮ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে শিশুটির লাশ উদ্ধার হয়। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগ থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না।
মেহেদী হাসান সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের দামোদরকাটি গ্রামের মাঠপাড়া এলাকার ইজিবাইক চালক মহিদুল ইসলামের পুত্র।
নিখোঁজের ২০ ঘন্টা পর বাড়ির পাশের দমদম বাজার টু জামালের মোড় সড়কের সাড়াতলা সংলগ্ন উপর রাখা পাটের আটির নিচ থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ৷
মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিনের কাজের উদ্দেশ্যে বাইরে গেলে বাড়ি থেকে স্ত্রী খাদিজা খাতুনের ফোন আসে বাচ্চা মেহেদীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাৎক্ষণিক বাড়ি এসে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা, আশপাশের পুকুর জলাশয়সহ সম্ভাব্য সব জায়গাতে খুঁজেও ছেলেকে পাওয়া যায়নি না। রাত পর্যন্ত চলে উদ্ধারের জন্য মাইকিং। বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশে রাস্তার ধারের ধানক্ষেতে জাঁক দেয়া আঁটিবাধা পাটের নিচ থেকে তার মৃত দেহ উদ্ধার হয়।’
শিশুর মা খাদিজা খাতুন বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকালে কাউকে কিছু না বলে খেলতে গিয়েছিল৷ সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়িতে না আসলে সব জায়গাতে খোঁজাখুজি করেও পাইনি৷ বুধবার রাস্তায় রাখা পাটের আটির নিচ ধান ক্ষেত থেকে স্থানীয় এলাকাবাসী মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে৷’
প্রতিবেশী আসমা খাতুন জানান, ‘মঙ্গলবার বিকেলে মেহেদী ও একই বয়সী রাকিব খেলতে গিয়েছিল দামেদরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে৷ পরে রাকিব বাড়িতে আসলেও মেহেদী হাসানকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় নি৷’
প্রথম প্রত্যক্ষদর্শী আতিয়ার রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ধানের ক্ষেতে ঔষধ ছিটাতে গিয়ে দেখি সারা শরীরের উপর পাটের আটি আর মাথাটা বের হওয়া অবস্থায় দেখে চিৎকার দিয়ে উঠি৷ আমার চিৎকারে চারিদিক থেকে লোকজন ছুটে আসে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল ও পুলিশ সদস্যরা এসেছে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।’
ইউপি সদস্য জানান, ‘সম্ভবত শিশুটি পাটের আাটির উপর খেলতে যেয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।’
মৃত মেহেদী হাসানের সাথে খেলতে যাওয়া শিশু রাকিব হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকালে দামোদরকাটি সরকারি প্রাইমারি স্কুলে দু’জন খেলা করে বিকাল চারটার দিকে বাড়িতে এসে ব্রজবাকসাতে মায়ের কাছে যায়৷ কিন্তু মেহেদী কোথায় ছিল সেটা জানি না৷’
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবীর জানান, ‘শিশুর নিখোঁজের ঘটনায় পরিবার থেকে এখন সাধারণ ডায়েরী করেছিলো৷ পাটের আটির নিচ থেকে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে৷ এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি৷ তবে ঘটনার তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন