নিজেকে নির্দোষ দাবি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের

২০২০ সালে নির্বাচনের ফল পাল্টে দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে পরিপ্রেক্ষিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে ওয়াশিংটন ডি.সির একটি আদালতে শুনানির সময় এ দাবি করেন তিনি। শুনানি চলাকালীন আদালতের বাইরে বিক্ষোভ করেন ট্রাম্পবিরোধী শত শত মানুষ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারের পর থেকে সময়টা পক্ষে নেই ট্রাম্পের। একের পর এক মামলায় জর্জরিত তিনি।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার রেকর্ডটি দিন দিন আরও শক্তিশালী হচ্ছে তার। এবারের অভিযোগ, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পাল্টে দেয়ার চেষ্টা, যা আগের মামলাগুলোর চেয়ে গুরুতর ও শক্তিশালী বলছেন অনেকে। 

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডি.সির একটি আদালতে শুরু হয় মামলার শুনানি। শুনানিতে  সশরীরে হাজির হয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ট্রাম্প। আগামী ২৮ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন আদালত।

এ নিয়ে গেল চার মাসে তিন মামলায় অভিযুক্ত হলেন ট্রাম্প। যাকে বাইডেনের নিপীড়ন বলছেন তিনি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বিরোধী রাজনৈতিকদের ওপর নিপীড়ন শুরু করেছে বাইডেন প্রশাসন। আমেরিকা আগে কখনও এমনটি দেখেনি। এর তীব্র নিন্দা জানাই।  

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মামলাগুলোর নিষ্পত্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবু ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েও এর আগে নির্বাচনে লড়েছেন দুই রাজনীতিবিদ। তাই ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনো বাধা দেখছেন না তারা। এছাড়া ভোটে জিতলে প্রেসিডেন্টের ইনডেমনিটি ক্ষমতায় মামলাগুলো খারিজ হয়ে যেতে পারে। তবে শঙ্কার নাম মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী। যাতে দেশ রক্ষার শপথ পড়ে সংবিধান লঙ্ঘন বা বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড জড়ালে,  অভিযুক্ত ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় কোনো পদে বসতে পারেন না। 

গেল বছর সাংবিধানিক এই আইনেই পদ হারান নিউ মেক্সিকোর এক কর্মকর্তা। ট্রাম্প বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে এই আইনের প্রয়োগ চান। ট্রাম্পপন্থীদের মাথাব্যথা বিচারক ‘টানিয়া চুটকানকে’ নিয়েও। কারণ ক্যাপিটল হিলে হামলা মামলায় বেশ কয়েকজনকে কঠোর সাজা দিয়েছেন তিনি।