নিজের বাইকের নাম্বার নেই; অন্যের গাড়ি ধরে বেড়াচ্ছেন ট্রাফিক সার্জেন্ট!

বৃহস্পতিবার দুপুর। ঘটনাস্থল রামপুরা ব্রিজের ট্রাফিক সিগন্যাল। জরুরি রপ্তানি পণ্যবাহী একটি ট্রাক আসতেই সংকেত দিয়ে থামালেন শিক্ষানবিশ নারী সার্জেন্ট পান্না আক্তার। অপরাধ হলো ট্রাকের সামনের বাম্পার। প্রায় একঘণ্টা বচসার পাশাপাশি মামলা ঠুকে দিলেন সেই পুলিশ সার্জেন্ট। দায়িত্ব শেষ, তাই গল্পও শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু গল্পের আরও বাকী!
যে স্কুটি করে আইনভঙ্গকারী যানবাহন ধরে বেড়াচ্ছেন পান্না আক্তার সেই স্কুটিরই কোনো নাম্বার নেই! নাম্বারপ্লেটে লেখা ‘ইঃ নং ১২৭৮৫৪৭ পুলিশ’ । সেই নাম্বারবিহীন স্কুটি চড়েই কর্তব্য পালন করেন তিনি। পান্না আক্তারের স্কুটির পাশে আরও একটি বাইক দেখা যায়। সেটিরও কোনো নাম্বার প্লেট নেই; পেছনে বড় করে লেখা আছে ‘পুলিশ’। অথচ পুলিশকে এরকম নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল ব্যবহারে কোনো অনুমোদন দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই বলে বিআরটিএর উপ-পরিচালক মাসুদ আহমেদ নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষানবিশ সার্জেন্ট পান্না আক্তার গত এপ্রিলে ‘বাংলাদেশ উইমেন পুলিশ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জনকারী ২০ জনের অন্যতম। তার বাইকের নাম্বর না থাকার বিষয়টি সম্পর্কে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বলা হয়, ট্রাফিক পুলিশকে যে গাড়িগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলোর রেজিস্ট্রেশন নম্বর সম্ভবত এখনও আসেনি। তাই এভাবেই দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে তাদের।
তবে সাধারণ কোনো মানুষ এই কাজটা করলে তাকে সাথে সাথে মামলাসহ নানান হয়রানির শিকার হতে হতো। এমনিতে কাগজপত্র থাকার পরও ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে নানান রকম হয়রানি করার অভিযোগ সবসময়ই করে আসছেন বাইক ব্যবহারকারীরা। সাথে নষ্ট হচ্ছে অনেক সময়। যেমনটা হলো জরুরি রপ্তানি পণ্যবাহী সেই ট্রাক চালকের। যদিও আইন সবার জন্যই সমান। পুলিশ হলেই কেউ নাম্বাপ্লেটে ‘পুলিশ’ লিখে চলতে পারবেন না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




















