নির্বাচনী প্রচারণায় পোস্টার ও ড্রোন ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা

নির্বাচনী প্রচারণায় প্রথমবারের মতো পোস্টার ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে প্রচারণার কাজে ড্রোন ব্যবহারে এবং বিদেশে প্রচারণা চালানোতেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আখতার আহমেদ জানান, প্রচারণায় প্লাস্টিকের কোনো জিনিস ব্যবহার করা যাবে না। তবে ইলেকট্রনিক ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড ব্যবহার করা যাবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ বিষয়ে ইসি সচিব জানান, বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) থেকে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসার ইচ্ছে আছে ইসির। এত দিন নির্বাচনী আচরণবিধি প্রকাশের অপেক্ষায় ছিলেন তারা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, নির্বাচনী এলাকার সীমানা জটিলতায় নির্বাচনের তফসিলে প্রভাব পড়তে পারে। তবে তা নির্ভর করবে আদালতের আদেশের পর্যালোচনার ওপর।
এর আগে, সোমবার রাতে নির্বাচন সামনে রেখে ‘রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা- ২০২৫’ জারি করে নির্বাচন কমিশন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারির পর সেই আলোকেই আচরণবিধি গেজেট আকারে জারি করে ইসি।
এই বিধিমালায় প্রথমবারের মতো ভোটের প্রচারে পোস্টার ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোটের প্রচারে কড়াকড়ি আরোপ, অসৎ উদ্দেশ্যে এআই ব্যবহারে মানাসহ আসনপ্রতি ২০টির বেশি বিলবোর্ড না দেয়ার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে।
আচরণবিধি লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা এবং দলের জন্য দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও রয়েছে ইসির।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও ২০০৮ সালের আচরণবিধির সঙ্গে সমন্বয় রেখে বেশ কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করে এবার নতুন আচরণবিধি প্রণয়ন করলো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




















