নির্বাচনের জন্য প্রত্যাশিত অনুকুল পরিবেশ এখনো হয়ে ওঠেনি: সিইসি
“আন্তরিকভাবে আমরা চাই, রাজনৈতিক পরিবেশ অনুকূল হয়ে উঠুক। আমাদের আরাধ্য কর্মটা সহজ হোক। সেজন্য আমরা নিরন্তর আহবান করে যাচ্ছি,” বলেন তিনি।দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম থেকে প্রত্যাশা থাকলেও এখন পর্যন্ত ‘নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ’ দেখতে না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সাথে মতবিনিময় সভার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমাদের যেটা প্রত্যাশা, আয়োজক হিসাবে আমরা সুন্দরভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে চাই। সেজন্য রাজনৈতিকভাবে অনুকূল পরিবেশের আবেদন আমরা প্রথম থেকে বহাল রেখেছি এবং আজ অবধি।
“প্রত্যাশা প্রথম থেকে ছিল, এখন অবধি প্রত্যাশিত অনুকূল পরিবেশ হয়ে ওঠেনি।”ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির শুরুর মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। সেজন্য নভেম্বরের মাঝামাাঝি সময়ে তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
কিন্তু বিরোধী দলে থাকা বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, বিলুপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফেরানোর কোনো সুযোগ নেই, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই নির্বাচন হবে।
আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে দুই প্রধান প্রতিপক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে তৈরি হয়েছে এক ধরনের অনিশ্চয়তা।
সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, “আন্তরিকভাবে আমরা চাই, রাজনৈতিক পরিবেশ অনুকূল হয়ে উঠুক। আমাদের আরাধ্য কর্মটা সহজ হোক। সেজন্য আমরা নিরন্তর আহবান করে যাচ্ছি।”
বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একাধিকবার সংলাপ করলেও বিএনপি তাতে সাড়া দেয়নি। সে কথাও সভার শুরুতে বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, “সেখানে যেসব দল আসতে চাননি, তাদের প্রতি আমাদের বিনীত আবেদন ছিল, সংলাপে আসুন। সেজন্য আমরা আধা সরকারি পত্র দিয়েও অনানুষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে আলোচনায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম, অন্তত একটু চা খেতে আসেন।
“আমরা কিন্তু সাড়া পাইনি। আমরা দেখাতে চেয়েছিলাম, আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করছি। কিন্তু তাদের যে রাজনৈতিক স্ট্রাটেজি, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমরা স্পষ্ট করে জানিয়েছি, প্রতিটা রাজনৈতিক দল ও জোটের তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক কৌশল থাকতে পারে, সেটা তাদের নিজস্ব ইস্যু। নির্বাচন কমিশন সেখানে অনাধিকার চর্চা করবে না।”
হাবিবুল আউয়াল বলছেন, সাড়া না পেলেও তারা রাজনৈতিক দলগুলোকে ‘নিরন্তর’ আহ্বান জানিয়ে যাবেন।
“আপনারা আসেন, সমস্যার সমাধান হোক অথবা মাঠে আপনারা বিরাজমান সংকটগুলো নিরসন করুন।”
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন