‘নির্বাচনের দিন রোহিঙ্গা ক্যাম্প সিল করে দেয়া হবে’
নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, কক্সবাজার ক্যাম্পে ১০ লাখ রোহিঙ্গা আছে। ক্যাম্প থেকে যেন কোনো রোহিঙ্গা বের হতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। নির্বাচনের দিন রোহিঙ্গা ক্যাম্প সিল করে দেয়া হবে। কারণ রোহিঙ্গাদের ভাড়া করে ভোট দেয়ার সম্ভাবনা আছে। এ বিষয়ে রোহিঙ্গাবিষয়ক কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া আছে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ইসি সচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২১ ডিসেম্বর থেকে প্রার্থী ছাড়া অন্যদের বৈধ অস্ত্র নিকটস্থ থানা কিংবা ট্রেজারিতে জমা দিতে হবে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা শাখায় নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।
তিন বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, পর্যাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনকালীন ৪ দিনের জন্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে থাকবেন।
পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশে ইসি সচিব বলেন, পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আগে ব্যবস্থা নিতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য অপেক্ষা করবেন না। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড জোন। সেখান থেকে অনেক বেশি অভিযোগ পাচ্ছি। সংঘাত এড়াতে রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে। প্রথমবারের মতো গ্রামপুলিশকেও নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করা হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নানের সঞ্চালনায় নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে সিইসিকে অবহিত করেন নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত মাঠ কর্মকর্তারা। এতে সব কর্মকর্তারা নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ আছে বলে জানান। তবে যেসব সহিংসতার অভিযোগ আসছে এর বেশির ভাগই সত্যতা মিলছে না। ঘটনা যা ঘটে তার চেয়ে বেশি অতিরঞ্জিত করে অভিযোগ দেয়া হচ্ছে বলেও তারা সিইসিকে অবহিত করেন।
এতে সেনা ও নৌ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও কোস্টগার্ড কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন