নির্বাচনে গোয়েন্দা নজরদারিতে অতিরিক্ত ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি নানা চক্রের অপতৎপরতা রুখতে সক্রিয় হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও। সরকারও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে অতিরিক্ত ২৫ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ রেখেছে অর্থ বিভাগ।

রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের উপ-সচিব রওনক জাহান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত ৩ অক্টোবর ৩০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত একটি চিঠি অর্থ সচিবের কাছে পাঠানো হয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য সময়ও এগিয়ে আসছে। এ অবস্থায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীর কর্মতৎপরতার পাশাপাশি দেশি-বিদেশি মহলের মেরুকরণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

‘এসব রাজনৈতিক মেরুকরণে বৈধ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের আবরণে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হওয়া ও নাশকতামূলক তৎপরতা বৃদ্ধির আশঙ্কা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।’

এ পরিপ্রেক্ষিতে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন পক্ষের রাজনৈতিক মেরুকরণ ও নাশকতামূলক অপতৎপরতা সম্পর্কিত সার্বিক গোয়েন্দা কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অতিরিক্ত ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয় ওই চিঠিতে।

এরই প্রেক্ষিতে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদফতরের গোয়েন্দা খাতে অতিরিক্ত ২৫ কোটি টাকা অর্থ বিভাগের অপ্রত্যাশিত ব্যয় ব্যবস্থাপনা খাত হতে নির্দেশক্রমে অর্থ বরাদ্দে সম্মতি জ্ঞাপন করছে।

এ বরাদ্দে বেশকিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। শর্তগুলো হচ্ছে- এ অর্থ ব্যয়ে যাবতীয় আর্থিক বিধি-বিধান এবং নিয়মাচার যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। যে উদ্দেশ্যে এ অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে সে উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো খাতে এ অর্থ ব্যয় করা যাবে না। বরাদ্দকৃত অর্থ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কোডে সমন্বয় করতে হবে। অব্যয়িত অর্থ ২০১৯ সালের ৩০ জুনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে প্রেরণ করতে হবে।