নির্বাচন নিয়ে যা বলছে জাতিসংঘ-যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ইইউ

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইইউ আলাদা-আলাদাভাবে তাদের মতামত দিয়েছে।

জাতিসংঘ: নির্বাচন নিয়ে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য এবং সবার অংশগ্রহণে হয় তা নিশ্চিত করতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং নারী সমাজসহ সব বাংলাদেশি নাগরিক যেন নিরাপদে এবং নিশ্চিন্তে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। নাগরিক সমাজ এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের তাদের ভূমিকা পালনে যেন পূর্ণ সমর্থন দেয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশের নির্বাচনের পর্যবেক্ষক পাঠাতে না পারার পর তারা হতাশা প্রকাশ করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র এ নিয়ে একটি বিবৃতি দেন।

তাতে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) মাধ্যমে বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য একটি সংস্থাকে তহবিল দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার ভিসা এবং অন্যান্য সহযোগিতা না দেয়ায় এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন্স (আনফ্রেল) নামের এই সংস্থাটি তাদের পর্যবেক্ষণ মিশন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি বলেন, যে কোনো গণতান্ত্রিক নির্বাচনের আগে শান্তিপূর্ণভাবে মতপ্রকাশ এবং সমবেত হওয়ার অধিকার থাকতে হবে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে তাদের কাজ করতে দিতে হবে এবং কোনো ধরনের সহিংসতা, হয়রানি এবং ভয়ভীতির হুমকি ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে সবাইকে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি তাদের অঙ্গীকার রক্ষায় উৎসাহিত করছি যাতে করে বাংলাদেশের সব মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাদের মতপ্রকাশ করতে পারেন।

যুক্তরাজ্য এবং ইইউ: বাংলাদেশের নির্বাচন প্রশ্নে অনেকটা যুক্তরাষ্ট্রের মতোই অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নির্বাচন বাংলাদেশে কোন পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

তবে নির্বাচন যাতে বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক এবং স্বচ্ছ হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য তারা বাংলাদেশের সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।