নির্বাচন সামনে রেখে ৫ কোটি জাল টাকা ছাড়ার পরিকল্পনা!
ঢাকার তুরাগ এলাকার একটি বাড়িতে জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর)। ওই কারখানায় জাল নোট তৈরি চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবি উত্তর বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) সুমন কান্তি চৌধুরীর টিম।
শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আবুল হোসেন ওরফে ইমন, শেখ সুমন, ছগির হোসেন ওরফে শাহীন, ইকবাল হোসেন, স্বপ্না ও তৌকীর আহম্মেদ ওরফে সুজন।
পুলিশ বলছে, ইমন রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার জাল নোট প্রস্তুতকারক ও ক্রয়-বিক্রয়ের অন্যতম হোতা। বর্তমানে সে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ জালনোট প্রস্তুতকারী। এমনকি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আর্থিক লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪-৫ কোটি জাল টাকা মার্কেটে ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল এই চক্রের।
ডিবি উত্তর বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) সুমন কান্তি চৌধুরী জানান, চক্রটির কাছ থেকে ৫১ লাখ জাল টাকা, আসল ২৯ হাজার ৮০০ টাকা ও অন্তত ৭ কোটি জাল টাকা তৈরির উপকরণ জব্ধ করা হয়েছে।
চক্রের মূলহোতা ইমনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, ইমন তার অন্যতম সহযোগী শেখ সুমন, ছগির, ইকবাল, স্বপ্না এবং নিন্মবিত্ত লোকদের দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উত্তরাসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে জাল টাকার ব্যবসা করে আসছিল।
এছাড়া সুজন এই কারখানায় প্রিন্টের কাজে ব্যবহৃত কালি (কার্টিজ) উচ্চ মূল্যে সরবরাহ করতো। সে প্রথমে কাউছার নামে একজনের সঙ্গে জাল টাকা তৈরির সহযোগিতা করতো।
পরবর্তিতে ২০১৩ সাল থেকে নিজেই সরঞ্জামাদি কিনে জালটাকা তৈরি শুরু করে। প্রতি মাসে প্রায় এক কোটি টাকার জালনোট তৈরি করে তার নিয়োজিত ডিলারের মাধ্যমে সারাদেশে বাজারজাত করে আসছিল।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আর্থিক লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনায় সে ৪-৫ কোটি জাল টাকা মার্কেটে ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল চক্রটি। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, এক লাখ জাল টাকা তৈরিতে তাদের খরচ হতো প্রায় ১০ হাজার টাকা।
পরবর্তীতে সে পাইকারি বিক্রেতার কাছে ১৪-১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতো। পাইকারি বিক্রেতা প্রথম খুচরা বিক্রেতার কাছে ২০-২৫ হাজার টাকা এবং ১ম খুচরা বিক্রেতা ২য় খুচরা বিক্রেতার কাছে ৪০-৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করতো।
এরপর ক্রমান্বয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ের মাধ্যমে এই জালনোট বাজারে বিস্তার করে আসছিল। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন