নিলামে মেহেজাবিনের শাড়ি, দাম উঠল ৪০ হাজার টাকা
জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী। অভিনয় করছেন নিয়মিত। এই ঈদেও প্রচুর নাটকে অভিনয় করছেন। সেই অভিনয়ের ফাঁকে এই ঈদে ব্যতিক্রম একটি কাজ শুরু করছেন।
আর তা হলো এই ঈদে ‘টপিক থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি ’ থেকে পথশিশুদের নিয়ে আয়োজিত এক ফেস্টিভ্যালে অংশ নিচ্ছেন তিনি। এই বিষয়ে ফেসবুকে তিনি এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পথ শিশুদের সাহায্য করতে তিনি গতকাল সকাল ১১ টা বেজে ২৯ মিনিটে ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তার একটি শাড়ি নিলামে ওঠান। শাড়িটির আস্কিং প্রাইজ ঠিক করা হয়েছিল ২ হাজার টাকা।
মুহূর্তেই তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের কমেন্টে তার ফ্যান ফলোয়ার্স, শুভাকাঙ্ক্ষী ও শাড়িটি কিনতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা কমেন্ট করতে থাকেন। সেখানে- ‘সোবান ইসলাম সাম’ নামক একজন জানতে চান- দাম কোথায় হাঁকতে হবে? সোবানের প্রশ্নের উত্তরে মেহজাবীন সবাইকে কমেন্টেই বিড হাঁকতে আহ্বান করেন। শুরু হয় দাম হাঁকার পালা।
গতকাল নিলাম কার্যক্রমের প্রথম দিকে ‘হাফিজুর আর রহিম’ নামক এক ব্যক্তি সকাল ১১ টা ৪৩ মিনিটে ২ হাজার টাকায় শাড়িটি কিনতে চান। তার আশার গুড়ে বালি ঢেলে দিয়ে মাত্র ৮ মিনিটের মাথায় ‘মাহাবুবুর রশিদ বান্নাহ’ নামক একজন দাম হাঁকেন ৩ হাজার টাকা। মাত্র তিন মিনিটের মাথায় বেলা ১১ টা ৫৪ মিনিটে বান্নাহকে হটিয়ে ‘মোহাম্মদ দবির আলী’ দাম হাঁকেন ৩ হাজার ২ শ টাকা।
কিন্তু দবির আলীর ঐ বর্ধিত ২ শ টাকাও ধোপে টেকেনি। ১১ টা ৫৪ মিনিটে ৪ হাজার টাকা দাম তোলেন ‘তাওসিফ মাহবুব’ নামের একজন। এক মিনিটের মাথায় ‘সামিউল হক শমিক’ আর মাত্র ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৪১০০ টাকায় শাড়িটি কিনতে চান।
সেটি দেখে এর আগে ৩ হাজার টাকা বিড করা ‘মাহাবুবুর রশিদ বান্নাহ’ দ্বিতীয়বারের মতো দাম হাঁকেন ৪ হাজার ৭ শ টাকা। তখন বাজে বেলা ১১ টা ৫৭ মিনিট। ঠিক এই সময়েই হুট করে ‘মুনতাহা লামিয়া’ নামক একজন একধাপে উঠে যান ১০ হাজারে! কিন্তু তার ১০ হাজার টাকাও তাঁকে মেহজাবিনের উক্ত শাড়ির মালিক বনে যেতে দেয়নি।
কেন না, মাত্র এক মিনিট অতিবাহিত হতে না হতেই করিম বেঞ্জেমা ১৫ হাজার টাকা বিড করেন। বেলা ১২ টা বাজার এক মিনিট আগে নিলা কার্যক্রমে অংশ নেন অসীম রায়। তিনি হাঁকেন ১৯ হাজার টাকা। সেটি সহ্য হয়নি করিম বেঞ্জেমার। ৩ হাজার টাকা বাড়িয়ে তিনি বিড করেন ২২ হাজার টাকা! শেষ রক্ষা হল না করিম বেঞ্জেমার।
কেন না একই সময়ে ২৪ হাজার টাকা বিড করেন ‘সাইফুল করিম’ নামক একজন। করিম বেঞ্জেমাও দমে হাওয়ার লোক নন, তিনি ১২ টা ১ মিনিটের সময় পুনরায় দাম হাঁকেন ২৮ হাজার টাকা! এরপর থেকে দীর্ঘক্ষণ আর কেউ করিম বেঞ্জেমাকে হটিয়ে দাম হাঁকেননি। কিন্তু বেঞ্জেমা পিছিয়ে পড়েন বেলা ১ টা বেজে ১৮ মিনিটে জোয়ার্দার কাফির কাছে।
জোয়ার্দার কাফি শাড়িটির দাম ওঠান ৩২ হাজার টাকায়! দুপুর ১ টা বেজে ৩৫ মিনিটে জোয়ার্দার কাফিকে টপকে যান হৃদয় আহমেদ, তিনি দাম হাঁকেন ৩৫ হাজার টাকা। এর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই ‘নাহিদ এইচ সম্রাট’ নামক একব্যক্তি বেলা ১ টা বেজে ৫৬ মিনিটে দাম হাঁকেন ৪০ হাজার টাকা। একই সময়ে ‘দিদারুল ইসলাম দিদো’ও ৪০ হাজার টাকা দাম হাঁকেন। বর্তমানে এটিই মেহজাবিনের শাড়ির সর্বোচ্চ বিড।
মেহবাজীবেন স্ট্যাটাস: আমি মেহজাবীন চৌধুরী। Topic 360° থেকে আয়োজিত পথশিশুদের জন্য ঈদ ফেস্টিভ্যালে একাত্মতা পোষণ করেছি। আমাদের দেশে লক্ষাধিক পথশিশুর প্রতিবছর ঈদের দিন কাটে আর দশ টা দিনের মতই। টপিক পরিবার সেই লক্ষাধিক শিশুর মধ্য থেকে শ-খানেক শিশুর মুখে হাসি ফোটানোর মহান ব্রত নিয়ে কাজ করছেন।
গত শীতেও এই টপিক পরিবার ৮০০ শীতার্থ সুবিধাবঞ্চিত পরিবারে কম্বল দিয়ে ছড়িয়েছিলেন ভালোবাসার উষ্ণতা।এবার ঈদে পথশিশুদের জন্য ঈদের আয়োজন। আমিও আছি ওদের সাথে। আমি ওদের ফান্ডে জমা করেছি আমার ব্যবহৃত আমার প্রিয় একটি শাড়ি (ছবিতে দেয়া আছে) আপনি চাইলেই এই শাড়ি টির মালিক হতে পারেন।
হ্যাঁ,আমি নিলামে তুলছি আমার প্রিয় শাড়ি টি যার আস্কিং প্রাইস ২০০০/- টাকা। নিলাম চলবে আগামী ১৬ জুন ২০১৭ রাত ১২ টা পর্যন্ত। এরমধ্য সর্বোচ্চ দাম হাকানো ভাই/আপুর ঠিকানায় পৌঁছে যাবে এই শাড়ি টি। আর আপনার টাকা চলে যাবে পথশিশুদের জন্য ঈদ ইভেন্টের ফান্ডে!
এবার ঈদ হবে পথশিশুদের সাথে ❤
★ আস্কিং প্রাইস ২০০০/-
★ ফেক আইডি থেকে বিড গ্রহণযোগ্য না।
★ শেষ সময় ১৬ জুন ২০১৭ পর্যন্ত।
Plz comment ur bidding price in the comment box
(ভালোকিছু উৎসাহিত করতে না পারলে করিয়েন না, কিন্তু আজেবাজে কমেন্ট করে দমিয়ে দিবেন না) ধন্যবাদ সবাইকে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন