নীলফামারীতে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ভূট্টাক্ষেতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ-গ্রেপ্তার ২

নীলফামারীর ডিমলায় অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ভুট্টা ক্ষেতে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গতকাল শনিবার তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই গ্রামের লতিফুর রহমানের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (২৮) ও নেসার উদ্দিনের ছেলে ছামিনুর রহমান (২৫)। তারা একই গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থী উপজেলার ডাঙ্গার হাট নিউ মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষাথর্। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে একটি নলকূপে পানি তুলতে যায়। একপর্যায়ে অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস ও ছামিনুর রহমান তার মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশের ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

এদিকে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে বের হয়। পরে ভুট্টাখেতে হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায় ওই কিশোরীকে। ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী মা-বাবার কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। কিশোরীকে উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

শিক্ষার্থীর পরিবার স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানান, পুলিশকে খবর দিয়ে আব্দুল কুদ্দুস ও ছামিনুর রহমানকে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে ডিমলা থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গতকাল শনিবার সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নীলফামারী সদর সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ফজলে এলাহী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে ডিমলা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ধর্ষণকারী দ্বয়কে গতকাল শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।