নুরকে গ্রেফতারের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের সাত দিনের আলটিমেটাম

বুধবার (১২ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হল রুমে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়।সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয় ফিলিস্তিনের অসংখ্য মুসলিম জনতাকে নির্বিচারে হত্যাকারী ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাঈলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে গোপন বৈঠক এবং পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত জঙ্গীগোষ্ঠী কুকি-চিনের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অপরাধে গণ অধিকার অধিকার পরিষদের সাবেক সদস্য সচিব নুরুল হক নুরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত এবং গণ অধিকার পরিষদকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষার তার লিখিতে বক্তব্যে বলেন গণ অধিকার পরিষদ নামক সংগঠনের সাবেক সদস্য-সচিব নুরুল হক নুর সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সাথে বৈঠক করে রাষ্ট্রবিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে যা মেন্দি এন সাফদির সাথে নুরুল হক নূরের ছবি,তার স্বীকারোক্তিমূলক কথোপকথন,তার সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের স্বীকারোক্তি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। গণ অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়ার সাম্প্রতিক বক্তব্যে ইসরায়েলের মোসাদের সাথের নুরুল হক নুরের যোগাযোগ ও আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।

সংবাদন সম্মেলন থেকে দাবি করা হয় কিছুদিন পূর্বে ডিবিসি ও সময় টিভির প্রতিবেদনে সুস্পষ্টভাবেই দেখানো হয়েছে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্রোহী জঙ্গীগোষ্ঠী কুকি-চীনের সাথেও নুরুল হক নুরের যোগাযোগ রয়েছে এবং সে এক লক্ষ কার্তুজের গুলি পাঠিয়েছে যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী জঙ্গীগোষ্ঠীর সাথে তার এই যোগাযোগ প্রমাণ করে যে সে আসলে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করতে চায়।যে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সদস্যদের কুকি-চিন হত্যা করেছে,তাদেরকে কার্তুজের গুলি পাঠানো,তাদের সাথে অস্ত্র ব্যবসা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে নুর।তাহলে কি নুর সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে?

আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে আরো জানানো হয় স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বাধীনতার পরপরই যে ক’টি দেশ স্বীকৃতি দিয়ে চিঠি পাঠায় তার মাঝে ইসরাইলও ছিল কিন্তু জাতির পিতা সে স্বীকৃতি গ্রহণ না করে চিঠি ফেরত পাঠান এমনকি এখনো ইসরায়েলের সাথে বাংলাদেশের কোনো কূটনীতিক সম্পর্ক নেই।মুসলিম দেশ হিসেবে আমরা সব সময় ফিলিস্তিনের পক্ষে। সেই ফিলিস্তিনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী উল্লেখ করে ইসরায়েল প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এবং ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে ইসরায়েল সাথে গভীর সম্পর্ক করবে বলে যে ঘোষণা দিয়েছে তা বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানের বিশ্বাসে আঘাত করেছে এবং ইসলাম ও রাষ্ট্র বিরোধী কাজ করেছে।ধর্মীয় লেবাসে ইসরাইলের সাথে নুরুর আঁতাত ধর্মীয় প্রতারণা বলে মনে করি।

যে নুর একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদীদের সাথে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্র করে,বাংলাদেশে আলাদা রাষ্ট্র সৃষ্টি করতে চাওয়া ও দেশপ্রেমিক সেনা সদস্যকে হত্যাকারী জঙ্গিগোষ্ঠীকে যে অস্ত্র দেয়,ধর্মীয় লেবাসে যে ফিলিস্তিনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা দিয়ে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক করতে চায়, বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে যে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করতে চায় সে দেশের শত্রুর,রাষ্ট্রের শত্রু,ধর্মের শত্রু সর্বোপরি এদেশের মানুষের শত্রু।

তাই অতি দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে সকল বিষয় দেশের মানুষের সামনে উন্মুক্ত করার জোর দাবি জানানো হয় এবং সেই সাথে নুরকে ৭ দিনের মধ্যে গ্রেফতার করার আলটিমেটাম দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে অন্যথায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে লাগাতার আন্দোলনে ঘোষণা দেন নেতারা।সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষার।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাহমুদুল হাসান রনি সহ-সভাপতি,মাইদুল ইসলাম পলক সহ-সভাপতি, নাছির আল আমিন পলাশ সহ-সভাপতি, শিবলি ফোরকান যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, মাসুদ খান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মাজহারুল ইসলাম সোহেল সাধারণ সম্পাদক তাতীলীগ ঢাকা দক্ষিণ, সবুজ,খাদিজা বেগম, পারভীন, সিলভীয়া, রোকেয়া প্রমুখ।