নুসরাতের কবরে সামনে দাঁড়িয়ে লাইভে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
ফেনীর সোনাগাজীতে গায়ে আগুনে দিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির কবর জিয়ারত করেছেন আলোচিত ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
শনিবার বিকেল চারটার দিকে সোনাগাজী পৌরশহরে চরচান্দিয়ায় নুসরাতের কবরে সামনে দাঁড়িয়ে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। সেখানে ফেসবুক লাইভ আসেন তিনি।
এর আগে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন নিহত নুসরাতের বাড়িতে গিয়ে শোকার্ত পরিবারের অপরাপর সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
এ সময় ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘অনেকেই নুসরাতের নাম ভুলে গেছেন হয়তো। যাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই নুসরাতের কবরের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু বলার ভাষা আমার নাই। নুসরাতের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তার কবর জিয়ারত করতে আসছি সেই সিলেট থেকে।’
তিনি বলেন, ‘এ জায়গাতে নুসরাত ঘুমিয়ে আছে। নুসরাতের কবরে লাগানো গাছগুলো অনেক বড় হয়ে গেছে। নুসরাত যে মাটিতে ঘুমিয়ে আছে এমন হাজারো নুসরাত হয়তো বাংলাদেশের মাটিতে ঘুমিয়ে আছে। অনেকে বিচার পাচ্ছেন, হয়তো অনেকে বিচার পাচ্ছেন না।’
তিনি বলেন, ‘আমি সারা বাংলাদেশের মানুষের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- যারা ভেবেছিলেন নুসরাতের নিউজটা মাটি চাপা পড়ে গেছে, তা মনে করার কোন কারণ নাই। নুসরাত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত যতজন আসামি আছে সবাই জেলে আছেন। শুধুমাত্র সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক ওসি মেয়াজ্জেম হোসেন ছাড়া।’
সুমন বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজে মামলার তদারকি করছেন। ওসি মোয়াজ্জেমও খুব শিগগিরই আইনের আওতায় চলে আসবেন। বিচারের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত নুসরাতকে আমরা ভুলব না।
তিনি আরও বলেন, ‘নুসরাতের কবরের সামনে এসে বলে যাচ্ছি, যত বাধা আসুক না কেন নুসরাতের যারা আসামি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে আমাদের প্রথম এবং প্রধান কাজ’।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘যে মেয়েটার হাতে মেহেদি দিয়ে মা-বাবা ও ভাইদের সাথে ঈদ করার কথা ছিল সে মেয়েটা আজকে কবরে শুয়ে আছে। আমি আজকে এখানে এসেছি নুসরাতের কাছে ক্ষমা চাইতে। আমরা নুসরাতকে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দিতে পারি নাই এটা আমাদের ব্যর্থতা। নুসরাতের মতো মানুষরা যদি আমাদের মাপ না করেন তবে এ বাংলাদেশ আগাবে না।’
এ সময় নুসরাতের বাবা একেএম মুসা, বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান, ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান ও এলাকার গণমান্য ব্যক্তিসহ বিপুল পরিমাণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা ও নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও সেখানে দায়িত্বরতদের সাথে কথা বলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন